খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : ১৩ তারিখ শুক্রবার। ঘড়ির কাঁটায় তখন ১৩:১৩। বজ্রপাতে শরীর পুড়ে গিয়েও মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এলো তেরো বছরের এক কিশোর।
কথায় আছে ‘আনলাকি থার্টিন’। এই ১৩ সংখ্যাটি নিয়ে অনেক উদাহরণ দেয়া হয়।
সমুদ্রের ধারে খেলা করছিল এক কিশোর। আকাশের অবস্থা ভাল ছিল না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। কালো হয়ে এসেছিল চারদিক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত তোয়াক্কা না করেই খেলা করছিল সে। আকাশে আলোর এই ঝলকানি তাকে মোহাবিষ্ট করে তুলেছিল। বজ্রপাত হতে পারে জেনেও সে চলে যায়নি।
এমন সময় হঠাৎই তার কাঁধে এসে বাজ পড়ে। ব্রজপাতে তার কাঁধের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এত দূর জেনে অনেকেরই মনে হতে পারে, এই ঘটনার সঙ্গে ১৩’র যোগ কোথায়। বজ্রপাতে আহত হওয়া, এমনকি মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। আকছারই হয়ে থাকে এমন।
১৩ সংখ্যাটি এই ঘটনার সঙ্গে কী ভাবে জড়িত? এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে সে প্রশ্ন।
বজ্রপাতে আক্রান্ত কিশোরের বয়স ১৩ বছর। ঘটনাটি যখন ঘটে, ঘড়িতে তখন ১৩টা বেজে ১৩ মিনিট। তারিখটি ছিল ১৩ শুক্রবার।
ইংল্যান্ডের এক সমুদ্রসৈকতে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই কিশোরের কাঁধের অংশটি এমন ভাবে ঝলসে গিয়েছিল যে বাঁচার আশা ছিল না।
বাজ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কিশোরকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর শারীরিক অবস্থা কতটা আশঙ্কাজনক ছিল, তা জানিয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক রেক্স ক্লার্ক।
রেক্সের কথায়, ‘‘কাঁধ পুরো পুড়ে গিয়েছিল। বাঁচার আশা ছিল না একেবারে। জোরে শ্বাস নিচ্ছিল। অজ্ঞানও হয়নি। বরং সচেতন ছিল।’’
যে অবস্থায় আহত ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাতে শুধু রেক্স নয়, বাকিদেরও মনে হয়েছিল বাঁচবে না।
ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আরো দু’জন। বজ্রপাতে আক্রান্ত হন তাঁরাও। তবে তাঁদের আঘাত ওই কিশোরের মতো গুরুতর ছিল না।