খোরশেদ আলম শিমুল, হাটহাজারী : হাটহাজারী উপজলার মদুনাঘাট এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টার ও হাসপাতাল গুড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থক বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা মোস্তফার উপস্থিতিতে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে ৫০ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা।
ওয়াসার এস্টেট কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, এটা ওয়াসার ক্রয়কৃত জায়গা আমরা দখলে নিছি। পানি উনয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছ থেকে চলতি বছর রেজিস্ট্রি করে নেয়া হয়েছে। এখানে কারো মালিকানা জায়গা নাই। রিলেশন পার্ক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা দীর্ঘ কয়েক বছর আগে ১ বছরের জন্য লীজ নিয়ে বহু বছর ধরে অবৈধভাবে দখলে রেখেছিলেন জায়গাটি। দ্বিতীয়ত তাদের সাথে আমাদের কোনো ঝামেলা নাই। তাদর কোনো মতামত থাকলে তা পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখবে, আমরা নই।
রিলেশন পার্কের জায়গাটি লীজমূলে মালিকানা দাবি করে সৈয়দ নেছার উদ্দিন বুলু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নিয়মনুযায়ী ইজারা নিয়ে এবং তাদের দেয়া নকশানুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করে দখলে আছি। বিগত ২০১১ সালে লীজ মেয়াদ শেষ হবার পূর্ব একটি কাল্পনিক অভিযোগ এনে দখল বুঝিয়ে দিততে বললে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট মামলা দায়ের করি।
পরে উক্ত মামলা দেওয়ানী আদালতে বিচার্য মর্মে উল্লেখ করে খতিয়ানগত কারণে খারিজের পর পর হাটহাজারী সহকারী জজ আদালতে অপর মামলা ৩১৪/২০১৫ দায়র করি। মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিবাদী হিসেবে আপত্তি দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে সার্বিক বিবেচনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শুনানী না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য বিগত ২০১৫ সালর ৬ অক্টোবর আদেশ দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি বছরর ১০ নভেম্বর বর্ণনা দাখিলের জন্য সময় চান এবং আগামী ১১ মার্চ বর্ণনা দাখিল ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য আছ। তাহলে কি মূলে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মামলা চলমান থাকা ও কোনো নোটিশ ছাড়া ওয়াসা এভাভে স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে তা দখলে নেয়। তদুপরি ১৪ ডিসম্বর আদালতের অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার বিষয় নগরীর বহদ্দারহাট নির্বাহী প্রকশলী-১ বরাবর লিখিতভাব অবহিত করি। কয়েক কোটি টাকার মালামাল ক্ষতি করেছে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আদালত অবমাননা ও ক্ষতিপূরণ মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ওয়াসার সার্ভেয়ার গোলাম সরোয়ার বলেন, অভিযানে ৫০ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা আদালতকে সম্মান করি। মামলায় যে দাগ নাম্বার উল্লেখ রয়েছে তা উদ্ধারকৃত জায়গার সাথে কোনো সম্পর্ক নাই।