সিলেট সংবাদদাতা : সিলেট নগরবাসীকে বন্যামুক্ত করা ও সুরমা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সিলেটে সুরমা নদী খনন কাজ শুরু হয়েছে।
শনিবার ২১ জানুয়ারি এ খনন কাজের উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এতে ব্যয় হবে ৫০ কোটি টাকা।
এ সময় প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকায় সুরমা নদীতে এ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। নদী খনন করছে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
শীত মৌসুমে সুরমা নদী শুকিয়ে নালায় পরিণত হয়। বর্ষায় নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে সিলেট নগরীতে। এতে পানিতে তলিয়ে যায় সিলেট শহর। গত বছর দুই দফা বন্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সিলেট নগরবাসীকে।
পাউবো সিলেট অফিস সূত্র জানায়, গত বছর মে ও জুন মাসে নগরীতে ভয়াবহ বন্যা হয়। ওই সময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সুরমা নদী খনন, শহররক্ষা বাঁধ এবং নদী ও ছড়া-খালের উৎসমুখে স্লুইস গেট নির্মাণের দাবি উঠে। ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ নদী খননের উপর জোর দেন। এই প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা খননে প্রকল্প গ্রহণ করে। অবশেষে নগরবাসীর পরিত্রাণে জরুরী ভিত্তিতে সুরমা খননের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, প্রথম দফার খনন শেষ হলে কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত সুরমার নাব্যতা বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে পানি প্রবাহ। এতে বর্ষায় সিলেট মহানগরে বন্যার আশঙ্কা কমবে। আগামী জুন মাসের মধ্যেই খনন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।