সোহরাব হোসেন, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারির ভেতর বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়ে সরকারিভাবে নির্মিত হাত ধোঁয়ার বেসিনটি দীর্গদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বেসিনটিতে নেই পানি সাবানসহ হাত ধোঁয়ার কোনো ব্যবস্থা। উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা লোকজন বেসিনটির এ অবস্থা দেখে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় দু’তলায় উঠতে সিঁড়ির নিচে স্থাপিত হাত ধোঁয়ার বেসিনটির নেই কোনো অস্তিত্ব।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হাত ধোঁয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের ভেতরে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভবনের সামনে, থানার ভেতরে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সামনে মোট ৪ টি বেসিন স্থাপন করা হয়।
সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিটি বেসিন স্থাপনে ব্যয় হয় ৩০ হাজার টাকা করে। কিছুদিন যেতেই একটি বেসিন সঠিক তদারকির অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় সচল করা হয়নি। দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে, থানা,উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৩টি অফিসের বেসিন সচল থাকলেও উপজেলা পরিষদে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বেসিনটিই রয়েছে অকেজো। সেখানে নেই হাত ধোঁয়ার কোন উপকরণ। বেসিনের মধ্যেই জন্মেছে আগাছা।
উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা বায়রা ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের তসলিম উদ্দিন, চারিগ্রামের মিজানুর রহমান, ওয়াইজনগর গ্রামের আব্দুল হক, বাস্তা গ্রামের ইসমাইল হোসেন খানসহ অনেকে ওই বেসিনে হাত ধুতে গিয়ে ফেরত যান। এসময় ভুক্তভোগীরা জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে নির্মিত বেসিনটি অকেজো দেখতে পেয়ে সাংবাদিকদেরকে গণমাধ্যমে তুলে ধরার অনুরোধ জানান।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রিফাতুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে বেসিন চালুর ক্ষেত্রে যা যা করনীয় তা করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অফিসের।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, ওখানে দু’তিনবার পানির লাইন নেয়ার সময় পাইপ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পানির সাপ্লাইটা নেই। আমি জসস্বাস্থ্যকে বলে দেব তারা যেনো পানির ব্যবস্থাটা রাখেন।