সোহরাব হোসেন, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের রিফায়েতপুর-মাধবপুর ও জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি-জামির্ত্তা চকে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় নষ্ট হওয়া ধানের ক্ষতিপূরন পেলেন কৃষকেরা। দু’টি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী তাদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ৩ জুন দুপুর ২টার দিকে চান্দহর ইউনিয়নের ৬২ জন কৃষকের মধ্যে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়। ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে আদায় করা নগদ অর্থ বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন এবং ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস প্রমুখ।
এদিকে, বিকেল ৪ টার দিকে জামির্ত্তা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রাজুর উপস্থিতিতে ভাটা মালিকদের কাছ থেকে আদায় করা ১৪ লাখ সাড়ে ৮ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ১২১ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তালিকা থেকে বাদ পড়া চাপরাইল গ্রামের কৃষকদেরও ক্ষতিপূরন দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইটভাটার ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান ধানের বাজার মূল্য ও সরকারি ক্রয় অনুসরণ করে কৃষি কর্মকর্তারা হিসেব করে ক্ষতিপূরন নির্ধারণ করেছেন। তবে জামির্ত্তা ইউনিয়নের কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া শেষ হয়নি বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গতঃ চলতি মওসুমে চান্দহর ও জামির্ত্তা ইউনিয়নে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় প্রায় ৩’শ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে টনক নড়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ইটভাটা উচ্ছেদ ও ক্ষতিপূরনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। তালিকার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাপরাইল গ্রামের কৃষকরা । তাদের প্রতিবাদের মুখে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রাজুর উপস্থিতিতে ওই গ্রামের বাদ পড়া কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।