কেপি শর্মা অলি। ছবি: ইন্টারনেট
খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : নেপালে সঙ্কট আরো গভীর হলো। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি আগেই সরকার ভেঙে দিয়েছিলেন। এবার নিজের দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএন)-র নিয়ন্ত্রণ রাখতেও ব্যর্থ হলেন। ঘটনার জের ধরে দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তাকে সরে যেতে হলো। এখন অলির বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হতে পারে।
মঙ্গলবার অলিকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানোর কথা জানিয়েছেন সিপিএন মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে মাধব কুমারকে। শ্রেষ্ঠ বলেন, ‘‘দলের সেন্ট্রাল কমিটিতে ৪৪৬ জন সদস্যের মধ্যে ৩১৫ জনই মাধবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।’’ ঘটনার সূত্রপাত পুষ্পকুমার দহাল ওরফে প্রচণ্ডের সঙ্গে অলির সঙ্ঘাত ঘিরে। এ দিনের ঘটনার পর সেই সঙ্ঘাত আরো জোরালো হলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কয়দিন আগেই অভূতপূর্বভাবে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন অলি। তাঁর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। অলির পদক্ষেপ ‘অসাংবিধানিক’ এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই নেপালের সুপ্রিম কোর্টে ১২টি মামলা দায়ের হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালে অলির সঙ্গে প্রচণ্ডের সঙ্ঘাতের ইতিহাস নতুন নয়। এখন আরো একবার দুই নেতার দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠেছে।