শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : সম্প্রতি বগুড়ার শেরপুরের অভিজাত বিপনী এলাকায় মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় প্রতিপক্ষের মামলা হয়। এ ঘটনায় মামলা গ্রহন না করে উল্টো সংশ্লিষ্ট থানার ওসি’র ক্রসফায়ারের হুমকী দেয়ার প্রতিবাদ ও পারিবারিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাউন্সিলর পত্নী মোছা. ফাতেমা বেগম আদুরী।
৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দারের বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে কাউন্সিলর পত্নী মোছা. ফাতেমা বেগম আদুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার একমাত্র ছেলে আবির আহম্মেদ বনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ছেলে বনি গত ৩১ মে সোমবার বেলা দেড়টার দিকে শহরের বৈকালবাজার সড়কের পাশে একটি অভিজাত বিপনীর সামনে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জনৈক মানিক শেখের নেতৃত্বে ৭/৮জন তাকে বেধড়ক মারপিট করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর থানায় মামলা দিতে গেলে থানার ওসি শহিদুল ইসলাম আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ছেলে বনিকে ক্রসফায়ারের হুমকী দেয়। এরপর উল্টো প্রতিপক্ষের মামলা গ্রহন করে আমার শহরের বাসা ও উপজেলার গাড়িদহ এলাকায় আমার স্বামীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে একদল সাদা বাহিনীর পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অফিস ভাংচুর করে।
এমতাবস্থায় থানা পুলিশের অহেতুক হয়রানীর করা চেষ্টায় পারিবারিকভাবে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেনসহ তার স্বামী বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি (পৌর কাউন্সিলর)কে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা থেকে কাউন্সিলর পত্র আবিব আহম্মেদ বনিকে অব্যহতিসহ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন কাউন্সিলর পত্নী। একই সাথে পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি তার বক্তব্যে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেনেস্তা ও কুটকৌশলে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে একইদল (স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা) ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই দাবী করেছেন।
এ সময় যুবলীগ নেতা গনেশ মুন্সী, শাপলা খাতুন, বিউটি খাতুন, সোহাগী খাতুন, জুলেখা পোদ্দার, নাসরিন খাতুন, জোসনা খাতুন প্রমুখ বেশ কয়েকজন স্থানীয় নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
ওসি’র দেয়া ক্রসফায়ারের হুমকী নিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ওই কাউন্সিলর পত্নী বা তার ছেলেকে ‘‘ক্রসফায়ারের হুমকী” দেয়া হয়নি। তবে থানায় মামলা প্রেক্ষিতে পুলিশ আসামীদের আটকের জন্য তাদের বাসায় গিয়েছিল। কিন্তু তাদের সাথে কোন অসৌজন্যমুলক আচরন করা হয়নি বলে দাবী করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।