আকরাম হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার শেরপুরে বিশ্বা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী পজিশন দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করায় রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউএনও বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছে প্রতাপ কুমার মন্ডল।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের সরকারি খাস খাতিয়ানের ২৫ শতাংশ একটি ডোবা/গর্ত ১৯৬৫ সালে থেকে স্কুল দখল করে নিয়ে থাকে। গোলাম রব্বানী ২০১৬ সালে বিশ্বা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়। ২০১৭ সালে ঐ সরকারি খাস খাতিয়ানের ২৫ শতাংশ একটি ডোবা/গর্ত স্কুলের নিজস্ব জমি দাবি করে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ একটি রেজুলেশন করে। পশিজন দেওয়ার কথা বলে এলাকার প্রতাব কুমার, সঞ্চয় কুমার তালুকদার, জাহিদুল ইসলাম, সিহাব উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, দুলাল প্রাং সহ ১৩ ব্যাক্তির নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ডোবা/গর্ত ভর্তি করে নেয়। কিন্তু তাদেরকে কোন পজিশন না দেওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রহস্থ হয়। গত (২৬ নভেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন “ক” শ্রেণির পরিবার পুনর্বাসনে ‘দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থরা ইউএনও বরাবরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্বা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি তখন নতুন যোগদান করি, সভাপতি রেজুলেশনে স্বাক্ষর চাইলে জমির দাগ উল্লেখ না থাকায় স্বাক্ষর দিতে চাইনি। তখন সভাপতি জোরপূর্বক আমাকে দিয়ে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে নেয়। সাবেক বিশ্বা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম রব্বানী জানান, আমরা রাত্রিতে ডোবা/গর্ত পূরণ করে নিয়েছি তাদের দিয়ে। কিন্তু তারা আরো টাকা দিয়ে ঘর করে নেওয়ার কথা তারা টাকা না দেওয়ায় পজিশন দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী সেখ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।