শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে আঞ্চলিক সড়কে অজ্ঞাত গাড়ীর চাপায় ভাড়াই মোটরসাইকেল চালকসহ দুই জন ঘটনাস্থলেই নিহত ও বজ্রপাতে আব্দুল মালেক (৪৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এবং বজ্রপাতে ফেরদৌস (৫০) নামের একজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে শাহ্বন্দেগী ইউনিয়নের উচরং মধ্যপাড়া গ্রামে বজ্যপাতে এ ঘটনা ঘটে ও ভোররাত ৪টার দিকে শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর টু চান্দাইকোনা আঞ্চলিক সড়কের জামনগর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন- বজ্রপাতে নিহত আব্দুল মালেক শাহবন্দেগী ইউনিয়নের উচড়ং গ্রামের আঃ লতিফের ছেলে। মোটর সাইকেল চালক উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামের শরত আলীর ছেলে মো. বেলাল হোসেন (৫০) ও ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে ফজর আলী খাজা (৪২)। ফজর আলী খাজা পিংকি পরিবহনের বাস চালক ।
স্থানীয়রা জানান, বাস চালক ফজর আলী গাড়ী চালিয়ে রাতে চান্দাইকোনা আসে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি মোটর সাইকেল ভাড়া করেন। পরে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যাচ্ছিল।
এ সময় জামনগর এলাকায় পৌছালে দ্রুতগামী অজ্ঞাত গাড়ী চাপাদিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের উচড়ং গ্রামের
আব্দুল মালেক পেশায় একজন ভ্যান চালক। এখন ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় সে ধান কাটার শ্রমিকের কাজ করতো। এবং রাত্রের বেলায় ভ্যান চালাতে। সকালবেলা দিনমজুর হিসাবে অন্যের ধানী জমিতে ধান কাটছিল।
দুপুর পৌনে ১টার সময় বৃষ্টি সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত হয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায় এবং তার সহকর্মী ফেরদৌস আলম গুরুতর আহত হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুর ইসলাম জানান, সেখানে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সনাতন সরকার ও এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এবং দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ তাদের স্বজনেরা নিয়ে গেছে।