বগুড়া অফিস : বগুড়ার শিবগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা আবদুর রহমান মিন্টু (৩২) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে শিবগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার দুপুর ১২টায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে উপজেলার বিহার ইউনিয়নের পার লক্ষ্মীপুর চাঁনপাড়ার মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল কলেজ পাড়া মহল্লার হযরত ফাতেমা (রা:) হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদ্রাসাটি আবাসিক। সেখানে আরও ১১-১২ জন ছাত্রী একসঙ্গে হলরুমে থাকতো। তাদের সঙ্গে ওই ছাত্রীও লেখাপড়া করত। হলরুমের পাশেই স্ব-পরিবারে বসবাস করেন মাওলানা আবদুর রহমান মিন্টু। ঘটনার দিন ৩০ মে মেয়েরা সবাই খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে।
রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মাওলানা মিন্টু হলরুমে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীর কাছে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। পরদিন মেয়েটি ঘটনার কথা মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে জানালে তারা এসে মেয়েটিতে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার দাদীকে বিস্তারিত জানায়।
এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে মাওলানা আবদুর রহমান মিন্টুকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই করে তাকে গ্রেফতার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, এর আগেও তিনি ওই মাদ্রাসার আরও তিন-চারজন ছাত্রীকে একই কায়দায় ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশকে জানায়। মান-সম্মানের ভয়ে ওইসব পরিবারের লোকজন আইনের আশ্রয় নেয়নি।