আবুল কাশেম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত এলজিএসপি-৩ এর ৩০ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ১৩নং জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ দুর্নীতি মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। জামিন শুনানী শেষে বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির তাকে কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।

জানা যায়, গত ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ দুই অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় শাহজাদপুরের জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে দুই কিস্তিতে মৌলিক থোক বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৮২ টাকা ও ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬২ টাকাসহ মোট ৩০ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৪ টাকা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ, ইউপি সচিব এস. এম জিয়াউল করিম ও ইউপি সদস্য সালেহা বেগমের যৌথ স্বাক্ষরে গত ২০১৯ সালের ৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ৪ আগষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জালালপুর ইউপি’র ব্যাংক একাাউন্টের টাকা সোনালী ব্যাংক শাহজাদপুর শাখায় সাবেক ইউপি সচিব এস.এম জিয়াউল করিম এর নিজ নামীয় সঞ্চয়ী (যার নং ৪২১৩৪৩৪১৩৩৯০১) হিসেবে স্থানান্তর করে তা আত্মসাৎ করা হয়।

এই টাকা আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড সদস্য সালেহা বেগমকে গত ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারিতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হতে অধিকতর তদন্ত শেষে চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এ আত্মসাতের সাথে জড়িত নয় তা নিশ্চিত হয়ে পরবর্তীতে এ দু’জনের বিরুদ্ধে করা সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে।

এ ব্যাপারে বরাবরই চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ ও মহিলা ইউপি সদস্য সালেহা বেগম দাবি করে আসছে যে, সাবেক সচিব জিয়াউল করিম তাদের স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার ইউনিয়ন পরিষদের নামের একাউন্ট থেকে টাকা তার নিজস্ব একাউন্টে স্থানান্তর করে। পরে ১২৯ টি চেকের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় উক্ত সচিব টাকা উত্তোলন করে তা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেছেন।