প্রতিকী ছবি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : জেলার সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া -বরপাড়া-উমিদপুর-পাটারীর হাট সড়কের পুনঃ নির্মাণ কে কেন্দ্র করে এ চাদাবাজীর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন এর দত্তপাড়া -বরপাড়া-জি পি এস- উমিদ পুর সড়কটির উমিদপুর বশিকপুর এলাকার আধা কিঃমিঃ রাস্তা পুনঃ নির্মাণ ও সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন যাবত জণ দূর্ভোগ চলে আসছে। এ সূযোগে প্রায় এক বছর আগে এলাকার একটি চিহ্নিত গ্রুপ অফিসে ঘুষ দিয়ে কাজ টেন্ডারের জন্য কয়েকটি বাড়িতে তালিকা করে প্রায় এক লাখ চাদা আদায় করে। সম্প্রতি ওই এলজিইডি কর্তৃক সড়কটি টেন্ডার হয়ে ঠিকাদারের লোকজন কাজ শুরু করে।
এবারো সুযোগ বুঝে একই চক্র অফিসে আরও টাকা লাগবে অজুহাত তুলে বিভিন্ন বাড়িতে চাদা দাবি করতে থাকে। এ সব চিহ্নিত চক্রের মধ্যে রয়েছে একই এলাকার সোহেল, সুজন, নুরনবী, ফরাজি সোহেল, লোকমান (কাইসসার বাড়ি) গং। যে সব বাড়িতে চাদা দাবি ও আদায় করা হয় তন্মধ্যে মজিবুল হক পাটওয়ারী বাড়ি, খান বাড়ি, করম উদ্দিন পাটওয়ারি বাড়ি উল্যেখযোগ্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলাকার শহিদুল ইসলাম নামে একজন প্রকৌশলী জানান বিষয় টি আমিও লোক মূখে শুনেছি তবে সত্য কি মিথ্যা তা জানা নাই।
একজন শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, আমার জানা মতে এলাকার মানূষ থেকে অফিসে ঘুষ দেয়ার জন্য আগে একবার ষাট হাজার টাকা তুলেছিল এখন আবার একই কথা বলে টাকা উঠানোর বিষয়টি সঠিক, ওদের ভয়ে কেউ মূখ খুলতে নারাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন পেশাজীবি নয়াদিগন্তকে জানান, এ রাস্তা দিয়ে সব এলাকার সব ধরনের মানুষ চলাচল করবে, আমাদের কতেক বাড়ির লোকজন কে কেন চাদা দিতে হবে আমার বুঝে আসে না, আসলে যারা চাদা উঠাচ্ছে এরা খারাপ প্রকৃতির লোক, এদের মধ্যে একজন ইতিপূর্বে জেল পর্যন্ত খেটেছেন।
সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, এ ব্যাপারে গতকাল রাতে একজন আমাকে ফোনে জানিয়েছেন, আমি সাথে সাথেই এলাকার দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র কে বলেছি খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।