রাঙামাটি প্রতিনিধি : বেড়েছে ভীরবাট্টা, শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে রাঙমাটির ঈদ বাজার। রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও বনরূপা শহরের প্রধান তিনটি ঈদবাজার। এই তিনটি বাজারের বিপনি বিতানগুলোতে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে ঈদ বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাগণ।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত দুই ঈদে কোন আনন্দ না থাকলেও এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষ। উদযাপনের প্রস্তুতিতে মানুষ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাঙামাটির শপিংমল গুলোতে ভীর করছে।

ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে প্রতিটি মার্কেটে। তবে কাপড় সহ নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলক বেশী। তবুও দীর্ঘদিন সমাগম বঞ্চিত মানুষ এবারে ঈদের কেনাকাটার সুযোগ পেয়ে বাড়তি দাম গায়ে মাখছে না। তাই আনন্দও একটু বেশী। সুতরাং দাম যেন মুখ্য কোন বিষয়ই না।

বনরূপা মসজিদ মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা ও নারী উদ্যোক্তা নূরজাহান বেগম পারুল বলেন, নিত্যনতুন ডিজাইনের পণ্যে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজিয়েছি। ক্রেতারাও দেখে-শুনে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সামান্য লাভে ক্রেতাদেরকে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য হাতে তুলে দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দর্জির দোকানীরা বসে নেই। গত এক সপ্তাহ আগে থেকে সেলাই অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন পরে এমন ব্যবসায়ীক পরিবেশ পেয়ে তারাও খুশি।

ঈদের জামা-কাপড় কিনতে মার্কেটে ছেলে মেয়ে নিয়ে আসা মো. আব্দুল শুক্কুর বলেন, দাম একটু বাড়তির দিকে। চেষ্টা করছি সাধ্যের মধ্যে সন্তানদেরকে কিছু কিনে দিতে। দু’দিন পরে ঈদ যোগ করেন তিনি।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল’র আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. সওকত আকবর খান বলেন, সকালে স্বাস্থ্য সচেতন থাকবেন। নিজেদেরকে রোগমুক্ত রাখাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ।