রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটির শহরের শীর্ষ ক্যাসিনো খ্যাত কাঠালতলীর প্রতিভা ক্লাব এবং মানিকছড়িতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে নগদ ৪ হাজার ৬ শ ৮০ টাকাসহ পুলিশ ৭ জুয়ারী ও ১৭ লিটার মদসহ ২ মাদক কারবারীকে পুলিশ আটক করেছে। বুধবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযানে এদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এসআই আবুল খায়ের, এসআই আশরাফ হোসেন,এসআই মাজেদুল ইসলাম, এএসআই সুজন কুমার দে, এএসআই মোঃ জানে আলম, এএসআই রাজীব খন্দকার, এএসআই ফিরোজ আলম’র নেতৃত্বে পৃথক একাধিক আভিযানিক টীম রাঙামাটি শহরের কাঠালতলী ও মানিকছড়ি চেকপোষ্ট এলাকায় পুলিশের পৃথক অভিযানে নগদ টাকা, জুয়া সড়ঞ্জাম নিয়ে ৭ জুয়ারী ও ১৭ লিটার চোলাই মদ নিয়ে ২ মাদক কারবারীসহ ৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
শীর্ষ ক্যাসিনো খ্যাত শহরের কাঠালতলী প্রতিভাস ক্লাবে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় অভিযান চালিয়ে নগদ ৪ হাজার ৬ শ ৮০ টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম সহ ৭ জন জুয়াড়ীকে আটক করে। তারা হলেন, টিএন্ডটি এলাকার সুধা বিন্দু চাকমার ছেলে সুজয় চাকমা (২৫), রাঙাপানির সাধন চন্দ্র চাকমার ছেলে নোয়াধন চাকমা (৪৭), চক্রপাড়ার নীলধ্বজ চাকমার ছেলেবিজয় চাকমা (৩২), তবলছড়ির কমল মজুমদারের ছেলে অরুপ মজুমদার (৩৮), রসুল পুরের হামিদ আলীর ছেলে মোঃ ইদ্রিস আলী (৩৫), ফিসারী ঘাট আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ রিদোয়ান (৩৫) ও দক্ষিন কালিন্দীপর’র সাধন দের ছেলে সঞ্জিত কুমার দে(৬১)।
আভিযানিক টীম ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে জুয়ার বোর্ড থেকে ৪ বান্ডেল বিভিন্ন রঙের তাস ও নগদ ৪ হাজার ৬শ ৮০ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদের বিরুদ্ধে ১৮৬৮ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৪ ধারায় তাদেরকে আদালতে তোলা হয়েছে জানিয়ে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের বলেন, নগদ টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম সহ জুয়াড়িদের আটকে স্থানীয়রা আন্তরিক সহযোগিতা করেছে। তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে একাধিক প্রভাবশালী অপচেষ্টা চালিয়েছে যোগ করেন এ কর্মকর্তা।
এদিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ি চেকপোষ্ট এলাকা থেকে পাচারের সময় ১৭ লিটার চোলাই মদসহ আটক মাদক কারবারীরা হলো, রাউজানের মোমিন মিয়া’র ছেলে আব্দুল মান্নান মিয়া (৩১) ও চাঁদপুরের কচুয়ার মোঃশহিদুল্লাহ’র মেয়ে সানজিদা আক্তার (২০)।
এস়আই মাজেদুল ইসলাম’র নেতৃত্বে আটক এই দু’ মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশের পৃথক অভিযানে আটক ৯ জনকেই বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুল আমিন বলেন, জুয়া, মাদক, চুরি-ডাকাতিসহ সকল প্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি জনগনেরও সচেতন হওয়া উচিৎ বলে যোগ করেন এ কর্মকর্তা।