আহমেদ বায়েজীদ : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চায় রাশিয়ার উন্নতি রুখে দিতে। চলতি মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে সামনে রেখে পুতিন এসব কথা বলেন।

ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির কোন লক্ষন না থাকলেও আগামী ১৬-ই জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির কারাদন্ড, ইউক্রেন সঙ্কট, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও হ্যাকিং তৎপরতা নিয়ে দুই পরাশক্তির মাঝে গত কয়েক বছরে সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে।

সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে দেয়া বক্তৃতায় শুক্রবার পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে নিষ্পত্তিতে আসতে চাই। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরস্ত্রিকরণ, করোনা মহামারী মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষা ইস্যুও গুরুত্ব পাবে।

তিনি বলেন, রাশিয়ার দিক থেকে কোন সমস্যা নেই; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চায় আমাদের উন্নতি বাধাগ্রস্ত করতে এবং তারা সেটি প্রকাশ্যেই স্বীকার করে।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সারা বিশ্বে ভিন্নমতের প্রতি সরকারের আচরণ নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের, কারণ দেশটিতে রাজনৈতিক কারণে অনেককে বিচারে মুখোমুখী করা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পে সমর্থকদের পার্লামেন্ট ভবনে হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি গ্রহণ করেছে।

পুতিনের দাবি, ওই হামলার ঘটনায় আসামীদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া জো বাইডেনের সাথে আসন্ন বৈঠকে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু ঘটবে না বলে ধারণা তার।