বগুড়া অফিস : গাইবান্ধায় যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পরা ঘড়িয়াল আবারো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকায় যমুনা নদীতে মাছ ধরার সময় মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি ঘড়িয়াল ধরা পড়ে। কুমির ভেবে জেলেরা ঘড়িয়ালটিকে বেঁধে বালাসীঘাটে নৌকার সাথে আটকে রাখে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। ঘড়িয়ালটির ছবি সহ তীর সংগঠনকে জানানো হলে কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আরাফাত রহমান ঘড়িয়ালটি উদ্ধারের জন্য দ্রæত বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির উদ্দিন আকন ও প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগ রাজশাহীর পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর কবিরকে জানানো হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধা হতে “তীর” গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক জিসান মাহমুদ সহ সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য বালাসীঘাটে পৌঁছে সংশ্লিষ্ট জেলেদের ঘড়িয়াল সম্পর্কে জানায় এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্ব ও বন্যপ্রাণী আইন সম্পর্কে বোঝানো হয়।

পরবর্তিতে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তদের মধ্যস্থতায় জেলেরা ঘড়িয়ালটি তীর এর সদস্যদেন কাছে হস্তান্তর করে। তীর এর সদস্যরা পুনরায় ঘড়িয়ালটিকে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে যমুনা নদীতে মুক্ত করেন। এ সময় তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ জিসান মাহমুদ, সদস্য সচিব সোলাইমান সরকার, ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন,সদস্য মোনারুল ইসলাম, লুমান সরকার সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, জেলেও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

টিম ফর এনার্জি এন্ড ইনভায়রনমেন্ট রিসার্চ (তীর) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ আরাফাত রহমান জানান, আইইউসিএন এর লাল তালিকা মতে ঘড়িয়াল একটি মহাবিপন্ন প্রজাতি। ঘড়িয়াল আটক, হত্যা, ক্রয়বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ লক্ষ টাকা অথবা পাঁচ বছর কারাদন্ড। উল্লেখ্য ২০১৩ সালে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ঘড়িয়াল বিলুপ্ত হয়েছে বলে ঘোষনা করা হয়। তবে এখনো মাঝে মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীন নদীতে দেখা মিলে।