শামীম সুমন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে লৌহজং নদীর উপর পাকা ব্রিজ না হওয়ায় এবং হাসপাতাল রোডের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও কাদা সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সবাইকে।

মঙ্গলবার ৮ জুন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে জনসাধারণের দুর্ভোগের এ চিত্র।

ভুক্তভোগি এলাকাবাসি জানায়, ২০০০ সালে মির্জাপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভার বয়স ২২ বছর হলেও কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর পানি জমে চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই রোডের পাশে রয়েছে কুমুদিনী হাসমপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসসহ আশপাশের এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজার। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত এই রোড দিয়ে।

ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাট সংল্গ একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবী। রহস্যজনক কারণে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর উপর পাকা ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। বর্ষাকালে খেয়া নৌকা এবং শুকনো মৌসুমে নরবরে বাঁশের সাঁকোর উপর ঝুঁকি নিয়ে এলাকার লোকজন পারাপার হচ্ছে।

হাসপাতাল রোডে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন। পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হওয়ায় একুট বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পৌরসভার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ না হওয়া এবং রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ না হওয়ায় এলাকাবাসির দুর্ভোগের শেষ নেই।

মির্জাপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কুমুদিনী হাসপাতাল রোডে ড্রেন নির্মাণের জন্য একতটি প্রস্তাবনা তৈরী করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের পরামর্শে লৌহজং নদীর কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য একাধিক প্রকল্প এসেছে। কিন্ত রহস্যজনক কারণে ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে না।

মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল সাংবাদিকদের বলেন, কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। রাস্তার ড্রেন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। লৌহজং নদীর উপর পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা গ্রহল করা হবে।