খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের দু’জনের ব্যাটে ভর করে ভারতকে ১ উইকেটে হারিয়ে দিল তারা।

প্রথম ইনিংসে বল হাতে সাকিব আল হাসান ৫ উইকেট নিয়ে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের রানের চাকা আটকে রাখে। একমাত্র লোকেশ রাহুল ৭৩ রান করলেও ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮৬ রানে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪৬ ওভারে জয়ের রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজ শেষ বেলায় ৩৯ বলে ৩৮ রান করে দলকে জেতালেন।

১৮৬ রানের টার্গেট তাড়ায় ৪ উইকেটে ১২৮ রান করা বাংলাদেশ, এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৮ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায়।

দলের নিশ্চিত পরাজয় যেনো এখানেই লেখা হয়ে যায়! শেষ উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে জয় উপহার দেয় মেহেদি হাসান মিরাজ। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২৪ বল হাতে রাখতেই এক উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। শুরুতেই শিখর ধাওয়ানের উইকেট হারায় ভারত। মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন ধাওয়ান। তিন নম্বরে নেমে মাত্র ৯ রান করে আউট বিরাট কোহলি। ভারত অধিনায়ক রোহিত করেন ২৭ রান। নিউজ়িল্যান্ডে ভাল খেলা শ্রেয়স আয়ার করেন মাত্র ২৪ রান। ৯২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় ভারত। একই ওভারে রোহিত এবং বিরাটকে সাজঘরে ফেরান সাকিব।

সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান রাহুল এবং ওয়াসিংটন সুন্দর। তারা ৬০ রানের জুটি গড়েন। সুন্দর ১৯ রান করেন। রাহুল ৭৩ রান করেন। তিনি চারটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মারেন। সেই জুটিও ভাঙেন সাকিব। তিনি ১০ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। বাংলার শাহবাজ় আহমেদ ব্যাট হাতে ব্যর্থ। চার বল খেলে কোনও রান না করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শার্দূল ঠাকুর (২) এবং দীপক চাহারকেও (০) একই ওভারে ফেরান সাকিব।

বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেট নেন ইবাদত হোসেন। শ্রেয়স, রাহুল, শাহবাজ় এবং মহম্মদ সিরাজের উইকেট নেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে মাত্র ১৮৬ রান তোলে ভারত।

সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শেষ ১৫৬ রানে। বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কাটা দেন দীপক চাহার। প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজ নেন তিনটি উইকেট। ওয়াশিংটন সুন্দর নেন দু’টি উইকেট। তার বলে ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসান। বিরাট যেভাবে ঝাঁপিয়ে ক্যাচটা নিলেন তাতে অনেকের মতে উইকেটটি তারই। অভিষেক ম্যাচে উইকেট পেলেন কুলদীপ সেনও। দু’টি উইকেট নেন তিনি। একটি উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। বাকি ছিল একটি উইকেট। সেটাই নিতে পারলেন না কেউ।

বাংলাদেশের হয়ে শেষ উইকেটের জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমান ৫১ রানের জুটি গড়েন। শেষ উইকেটটি নিতেই পারলেন না ভারতের কোনো বোলার। ম্যাচ জেতার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরেই মাঠ ছাড়লেন রোহিতরা। ক্যাচ ফেললেন লোকেশ রাহুল। যিনি ৭৩ রান করে ভারতের ব্যাটিংয়ে ভরসা হয়ে উঠেছিলেন, তিনিই গ্লাভস হাতে ভারতের হারের কারণ হয়ে রইলেন। ৫ রানের মাথায় মেহেদির সহজ ক্যাচ না ফেললে ম্যাচ জিতে যেত ভারত।