এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ডিম-মুরগীর দামে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। কমেছে সব ধরনের সবজির দামও। তবে কমেনি মাছের দাম। উপজেলার কয়েকটি বাজারে বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্রবার সকালে ঘুরে বাজারদরের এ চিত্র দেখা গেছে।
স¤প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে যায়। এ সময় মুরগির কেজি দুইশ টাকা ছুঁয়েছে। এক ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। হঠাৎ মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েন ভোক্তারা। বাধ্য হয়ে সীমিত আয়ের অধিকাংশ মানুষ মুরগি ও ডিম কেনা কমিয়ে দেন। ফলে নিম্নমুখী হয় বাজার।
উপজেলার কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। ১৫দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এক ১০দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫২ টাকায়।
দাম কমেছে সব ধরনের সবজিরও। এখন প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। টমেটো ১০০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, লাউ আকারভেদে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৩০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৫দিন আগেও ১ কেজি কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কমেনি মাছের দাম। এখনো আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। রুই ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, লইট্টা ১৭০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা, বাটা ৬০০ টাকা, ছোট বাটা ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা।
মিরসরাই সদরের মুরগী বিক্রেতা শামীম বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি কমে যায়। ফলে খামারিরা দাম কমাতে বাধ্য হন। তবে এটাও ঠিক এখন ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। এগুলো মুরগির দামের সাথে যুক্ত হবে। এ ছাড়া মুরগির খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বেড়েছে। গত কয়েকদিন আমরা কম টাকায় কিনতে পারছি, খুচরা কাস্টমারদের কাছেও কম টাকায় বিক্রি করছি।
বড়তাকিয়া বাজারে বাজার করতে আসা মাসুম বিল্লাহ বলেন, মুরগি ও ডিমের দাম অনেক বাড়ার পর এখন কমছে। এখনো অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। নিত্যপণ্যের বাজারে অনেকদিন ধরে অস্থিরতা চলছে। তারপরেও মুরগি ও ডিমের দাম কমাটা অনেকটা মন্দের ভালোর মতো অবস্থা। সব ধরনের সবজির দামও কমেছে।
সবজি বিক্রিতা ওবায়দুল হক বলেন, বাজারে সরবরাহের ওপর সবজির দাম নির্ভর করে। এখন চাহিদার তুলনায় সবজির ভালো সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে। সবজির দাম আরো কমে যাবে।
বারইয়ারহাট মাছ বাজারের বিক্রেতা আলা উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিনে বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। চলতি মাসেই দুই দফায় সব ধরনের চাষের মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকারও বেশি। মাছের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।