মিরসরাই প্রতিনিধি : কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে দূর্বি সহ জীবন পার করছেন মিরসরাইয়ের মুসলিম উদ্দিন রাশেদ। অর্থের অভাবে চিকিৎসাও চলছে না। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে ইতোমধ্যে নিজের সহায় সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে হয়তো বেঁচে যাবে রাশেদের জীবন প্রদীপ।
মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের বাসিন্দা রাশেদ। পিতা কোব্বাত আহমেদ ৯ মাস ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে হার মেনেছেন। পিতার চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়েছে তার পরিবার।
এরপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো দুঃসংবাদ। দুটি কিডনি কার্যক্ষমতা হারিয়েছে ৩৫ বছর বয়সী এই যুবকের। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে ভারত এবং দেশে চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এই টাকা যোগাড় করতে গিয়ে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন প্রায় দুই লাখ টাকা।
পিতার মৃত্যুর পর সর্বস্ব হারানো রাশেদ যখন পরিবারের হাল ধরেছিলেন এমনই সময়ে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার উপার্জিত আয় ছিলো পরিবার চালানোর প্রধান উৎস। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে রাশেদ সবার বড়। বর্তমানে তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। ১ মাস ধরে এই রোগীর কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না টাকার অভাবে। পরিবার চলতেও কষ্ট হচ্ছে।
চিকিৎসক জানিয়েছে, মুসলিম উদ্দিন রাশেদকে সপ্তাহে দুইবার কিডনি ডায়ালসিস করতে হবে অনির্দিষ্ট কাল। প্রতিবার ডায়ালসিস করতে লাগে ২৫০০ টাকা।
চিকিৎসকের মতে তার দুইটা কিড়নির মধ্যে একটা বাধ্যতামূলক প্রতিস্থাপন করা জরুরী। না হয় তার জীবন হুমকির মুখে। এতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার দরকার।
রাশেদের চাচাতো ভাই ফখরুল বলেন, বর্তমানে চিকিৎসার খরচ দূরে থাক তাদের পরিবারের খরচও জুটছেনা। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় কোনোরকম দিন যাচ্ছে।
রাশেদের মা হালিমা খাতুন বলেন, তার ছেলে দীর্ঘ ১৫ বছর পরিবারের হাল ধরেছেন। তাদের জমানো টাকা, সম্পদ যা ছিলো তার স্বামীর চিকিৎসায় সব শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে ছেলের অসুস্থতার কারণে আয়ও বন্ধ। বর্তমানে তার ছেলে জীবনযুদ্ধে লড়াই করছে। ছলের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে তিনি মানবিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।
২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো নাছির উদ্দিন হারুন সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে কাছে রাশেদের চিকিৎসার্থে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সাহায্য পাঠাতে বিকাশ- ০১৭৩২০৫০১১১ (রোগীর বিকাশ একাউন্ট)
রোগীর সাথে যোগাযোগ- ০১৮২০০৬২৭৭৭