হামলার পরে স্কুলের বাইরে ধ্বংসাবশেষ

খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে সে দেশের উত্তরাঞ্চলের সাগাইঙ্গ অঞ্চলের একটি স্কুলে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১১ শিশু নিহত এবং আরও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ।

এই স্কুলে কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে কিশোর বয়স পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষা দেয়া হতো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে স্কুলে বুলেটের গর্ত এবং রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে। – বিবিসি

বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, উত্তরাঞ্চলীয় লেট ইয়েট কোন গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠের পরিচালিত ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার, কিন্তু আজ মঙ্গলবারই প্রথম ঘটনাটির কথা জানা যায়।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার বলেছে, তারা স্কুলে লুকিয়ে থাকা বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ করেছিল।

সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, এই হামলার ঘটনাটি যে এলাকায় ঘটেছে সেখানে গত বছরের অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধ চলছে।

বিবিসির বার্মিজ সার্ভিস এর আগে নিশ্চিত করেছিল যে, ওই হামলায় অন্ততপক্ষে ছয়টি শিশু নিহত হয়। তাদের মধ্যে দুটি ছেলের বয়স সাত এবং ১৪ বছর, আর তিনটি মেয়ের বয়স সাত, নয় আর ১১ বছর। কাছাকাছি একটি স্থানে মাছ ধরতে থাকা আরেকটি ১৩ বছরের শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

বেশিরভাগ শিশুর মরদেহ বার্মিজ সৈন্যরা নিয়ে গেছে।

বিবিসি বার্মিজ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর গুলিতে সেখানকার ছয়জন গ্রামবাসীও নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ আর একজন নারী রয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে ওই স্কুলের দেয়ালে গুলির গভীর গর্ত এবং রক্তের দাগ দেখা গেছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি করার কারণে স্কুলের শিশুরা নিহত হয়েছে। নিখোঁজ ১৫ শিশুকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইউনিসেফ বলছে, ‘স্কুলগুলোকে অবশ্যই নিরাপদ রাখতে হবে। শিশুদের ওপরে কখনোই হামলা করা যাবে না।’

একটি আন্তর্জাতিক এনজিওর হিসেব অনুযায়ী, মিয়ানমারে চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় দু’শতাধিক স্কুলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।