ফারজানা ইয়াসমিন

মাদকাসক্তি আমাদের যুবসমাজের জন্য এশটি মারাত্বক সমষ্যা, সমষ্যা না বলে এটাকে সংকট বলাই চলে। কারন কিছুকিছু মানসিক সমষ্যার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মানুষ নিজেকে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলে। আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে মাদক গ্রহনের প্রবনতা সবচেয়ে বেশি। দেশের সম্পদ হচ্ছে যুবসমাজ, কেন না তারাই দেশের শক্তি। কিন্তু মাদক যুবসমাজের এই অদম্য কর্মপ্রেরনাকে ধ্বংস করে দেয়। যার ফলে সে নিজেকে বেমষ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, তেমনি দেশকেও মহা

বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেয়। মাদকাসক্তির অন্যতম কারন ব্যক্তিজীবনের হতাশা, মানুষ যখন তার নিজ জীবন নিয়ে আশা হারিয়ে ফেলে তখন সে মাদকদ্রব্যের আশ্রয় নেয়। বর্তমানে এই হতাশা তরুনদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় এই মাদকদ্রব্য গ্রহনে শুধু তাদের শরীর এরই ক্ষতি হচ্ছে না, ক্ষতি হচ্ছে অর্থনৈতিক মানদন্ডের, কেননা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য যেমন হেরোইন, প্যাথভিন, এলএসডি, মারিজুয়ানা, কোকেন, হাশিশ ইত্যাদির মধ্যে হেরোইন ও কোকেন বেশি দামী। যা সেবনের অর্থ জোগাড় করতে নানারকম অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ধ্বসে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থার ভীত, অসহায় হয়ে পড়ছে শতশত পরিবার।

একজন নেশায় আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ জীবনে ফিরে আসা খুব সহজ হয় না। তবুও পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় সচেুনতার মাধ্যমে একজন মানুষকে মাদকদ্রব্য গ্রহন থেকে বিরত রাখা সম্ভব। পরিবার এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ক্ষেত্রে ব্যপক ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে তারা নানাভাবে মাদকদ্রব্যবিরোধী প্রচার-প্রচারনা চালাতে পারে। রাষ্ট্রিয়ভাবে মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও এর সঙ্গে নিয়োজিত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। একজন মানুষকে যদি তার কাছের পরিজনেরা খুব ভালোভাবে পরিচর্যা করে এবং রাষ্ট্র যদি তাকে সুস্থভাবে বাঁচার পরিবেশ করে দেয় তবে খুব সহজেই মাদকাসক্তির প্রতিকার সম্ভব।

ফারজানা ইয়াসমিন
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), শাকরাইল উচ্চ বিদ্যালয়, শিবালয়, মানিকগঞ্জ।