সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি : সাভারের আশুললিয়ায় মাইগ্রেশনের দাবী জানিয়ে আবারও গতকাল বুধবার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ওই মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন যাত্রীসহ পরিবহনের চালকরা। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা পর মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দিলে মহাসড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের জামগড়া সরকার মার্কেট এলাকার নারী ও শিশু হাসপাতালের সামনে এ অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তারা মাইগ্রেশনের দাবী জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। এর আগেও ক্যাম্পাসে অবস্থান ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচী বাতিল করা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় অদ্যবদি নাইটিংগেল কলেজ কর্তৃপক্ষ মাইগ্রেশনের জন্য কোন ব্যবস্থা করেনি। তাই একই দাবী জানিয়ে তারা পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও জানান, নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের বিএমডিসির অনুমতি নেই। এজন্য তারা অন্যত্র মাইগ্রেশন করতে গেলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি রিট করে। ফলে তারা মাইগ্রেশন করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তারা মাইগ্রেশনের দাবিতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমরান খান জানান, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ মিথ্যা আশ্বাস ও আদালতের কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে ভর্তি করায়। প্রথম বর্ষে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন এনে দেবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন এনে দিতে পারেননি। কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা থেকেও তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন করে যাবে বলেও জানান। মাইগ্রেশন না দিলে ৪৫ জন শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও জানান তারা।

শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া জানান- আমরা এর আগেও একই দাবীতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।

আশুলিয়া থানার (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই ঘন্টারমত মহাসড়কে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত হয়ে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দিলে তারা চলে যায়। পরবর্তীতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।