বিশেষ প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় ৭০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত নামক আরো ২০জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্প্রতিবার নিহতের ছেলে মানিক মিয়া বাদি হয়ে মদন থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিনপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম ও একই গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান রহিছ মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক মামলাও রয়েছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে তাজুল ইসলামের লোকজন কয়েকদিন আগে বরো ধানের চারা রোপন করেন। ওই জায়গা রহিছ মিয়া দাবি করে বাধা প্রদান করে দখলে নেয়ার চেষ্টা চালালে তাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই উভয় পক্ষের লোকজন জমি দখলে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করলে সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ জমির পাশে টহল দিতে শুরু করে। বিকেলে চেয়ারম্যান রহিছ মিয়ার লোকজন ধারালো অস্ত্রাদি দিয়ে জমিতে প্রবেশ করলে প্রতিপক্ষের লোকজনও অস্ত্রাদি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের সামনেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে দুই নারীসহ কমপক্ষে ২৭জন আহত হন। আহতদের মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথ কালাচাঁন নামে এক ব্যক্তি মারা যাবার সংবাদ পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সন্ধ্যার পর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মালামাল ও ১৫টি গরু লুট করে নিয়ে যায়।

খালিয়াজুরি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জামাল উদ্দিন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।