ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি : যে যোদ্ধা একাত্তরে নিজের জীবন বাজী রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। আজ সেই বীর যোদ্ধা যখন অসুস্থ ও বিছানায় শয্যাশায়ী, বার্ধক্য জনিত রোগে কাবু এই সুযোগে প্রভাবশালী মহল জোড়পূর্বক তার বসতভিটা দখল করে নিয়েছে এবং সেই জমিতে গড়ে তুলেছে পাকা ভবন । বাধাঁ দিলে উল্টো বাড়ী ছাড়ার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য পৈকখালী গ্রামের মৃত আলী আকবর তালুকদারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান তালুকদারের সাথে।
মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা তিনি। ১৯৯০ সালে সরকারের ( ভূমি অফিস) কাছে এক খন্ড জমির জন্য আবেদন করলে তিনি বিধি অনুযায়ী ২০ শতংশ জমি পান। উপজেলার ২২ নং জে.এল, পৈকখালী মৌজার এস.এ ২১৭৯ নং খারিজ খতিয়ানে এবং বর্তমান বি.এস. ২৬৯৫ নং খতিয়ানে ২৬২৩ নং দাগে ৯ শতাংশ ও ২৬২২ নং দাগে ১১ শতাংশ কৃষি জমি তার নামে রেকর্ড হয় এবং ৬৪৮ নং কবুলিয়াত দলিল মূলে অত্র ২০ শতংশ সম্পত্তির মালিক হিসেবে দখলে ছিলেন তিনি এবং কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি অসুস্থ ও বিছানায় শয্যাশায়ী থাকার সুযোগে দীর্ঘ ৩১ বছর দখলে থাকা ওই সম্পত্তিতে একই গ্রামের প্রভাবশালী মৃত মমিন উদ্দিন শরিফের ছেলে মো: হালিম শরিফ ও তার বাগিনা বেল্লাল খান দলবল নিয়ে জোড় পূর্বক দখল করে ওই জমিতে বাড়ী ঘর নির্মান করেছে । এ নিয়ে স্থানীয় শালিশ ব্যবস্থা ঢাকলে তার সন্তানদের ভুল বুজিয়ে দিচ্ছে এবং বাড়ী থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে তারা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এই বৃদ্ধ বয়সে মাথা খোঁজার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর পেয়েছি। কিন্তু আমার জমিতে আমাকে ঘর তুলতে দিচ্ছে না প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী ও তাদের টাকার জোড় থাকায় আমি কোন বিচার পাচ্ছি না। আজ আমার পাশে কাউকে পাচ্ছি না।
মুক্তিযোদ্ধা আরো বলেন, তার জমি দখলের ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি কিন্তু লাভ হয়নি। এখন তার বেহাত হওয়া জমিটুকু উদ্ধার সহ নিজের জমিতে ঘর নির্মানের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সহ প্রশাসনের কাছে সাহয্য সহ জান মালের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে দখলদার বেল্লাল খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মামারও একই দাগে ১০ শতাংশ জমি আছে । আমি সেই জমিতে ঘর বাড়ী তুলছি এবং হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন।