সিলেট সংবাদদাতা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, আমাদের গোপন করার কিছুই নেই। বিদেশি পর্যবেক্ষক আমরা অ্যালাউ করবো। তবে বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের ‘মাতব্বরি’ করার দরকার নেই।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আমরা অ্যালাউ করবো। (উই হ্যাভ নাথিং টু হাইড) আমাদের গোপন করার কিছুই নেই। তবে বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের ‘মাতব্বরি’ করার দরকার নেই।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশে ইলেকশন অংশগ্রহণমূলক হয়, স্বতঃস্ফূর্ত হয়। ওইসব দেশে ইলেকশনের এক মাস আগে ক্যাম্পেইন শুরু হয়, আমাদের এক বছর আগেই শুরু হয়ে যায়।

মন্ত্রী রোববার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।

তিনি বলেন, ই-গেট কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরো বৃদ্ধি পাবে। তখন বহু দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার দরকার হবে না। অনেক দেশ সাগ্রহে আমাদের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পাসপোর্টের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমাদের পাসপোর্টের সেবা অনেক উন্নত হয়েছে, আগের মতো বছর খানেক বসে থাকতে হয় না। যেগুলো অবাঞ্ছিত সেগুলোতে সময় লাগে। অধিকাংশ পাসপোর্ট পেয়ে যান। শেখ হাসিনা থাকলে আমরা অনেক উন্নত অবস্থানে পৌঁছাবো। ই-পাসপোর্টধারীদের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে মাত্র ১৮ সেকেন্ড ব্যয় হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধে রন্ধে এই প্রিন্সিপল গুলো আছে, তাই আমাদেরকে অন্যরা মাতব্বরি করে পরামর্শ দেওয়ার দরকার নাই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক। তবে আমরা অঙ্গিকার করেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার করেছেন যে, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে এবং সবাইকে নিয়ে আমরা তা করতে চাই। যারা নির্বাচনে আসবেন; আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি; আমার দল বিশ্বাস করে; ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’।

এ সময় পাসপোর্ট ও বিমানবন্দরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।