নীলফামারী প্রতিনিধি : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে, চাঁদা কালেকশন-মনোনয়ন বাণিজ্য করে আবার চলে যায়। সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে- মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।

তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে পাখি আসে, ধান খায়, বিলের মধ্যে মাছ খায়, মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়। বিএনপিকেও সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায়। নেতারা চাঁদা কালেকশন করে, নমিনেশন বাণিজ্য করে আর মোটাতাজা হয়, আর কিছু সমুদ্রের ঐ পারে পাঠিয়ে দেয়, তিনিও মোটাতাজা হন। এই হচ্ছে বিএনপি। সারা বছর খবর নাই।

হাছান মাহমুদ রোববার দুপুরে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে ‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, উত্তরবঙ্গে বেশি শীত সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায় নাই। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করে নাই। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায় নাই। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছি।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শীতে কষ্ট পাক সেটি আমাদের নেত্রী চান না বিধায় ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সমগ্র বাংলাদেশে প্রত্যেক উপজেলায়, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় হাজার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে যারা এখানে এসেছেন আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো যে, নির্বাচন বেশি দূরে নাই। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছি নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে এসেছি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এসেছি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভোট যখন আসবে দয়া করে মনে রাখবেন, এই আওয়ামী লীগ ত্রাণ দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ কম্বল দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় টিকা দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলবেন যে, মেহমান এসেছেন, ঘরের মধ্যে চলে যান, ভোট দিতে পারব না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন। রংপুর বিভাগের সকল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তারা।