আবু বাককার সুজন, বাগমারা : বাগমারায় ৪১টি নতুন ভবন পেলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী। পুরাতন জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ণ শ্রেণী কক্ষ ছেড়ে এখন নবনির্মিত ভবনের নতুন শ্রেণীকক্ষে পড়া-শোনার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত এইসব শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে নতুন ভবন পেয়ে খুশি হয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরাও।

বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা এলাকায় সম্প্রতি ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এইসব নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে বাগমারার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। এছাড়া চলতি অর্থ বছরে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরো ৩ টি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৭ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি বুজরুককৌড়, মোহাম্মদপুর, ঝিকরা, মচমইল, রনসিবাড়ী, আচিনঘাট, বামনকয়া, মধুপুর, ধামিনকৌড়, দ্বীপনগর, দক্ষিণ মাঝগ্রাম, দাউদপুর, হায়াতপুর, শ্রীপুর, রায়াপুর, জামগ্রাম, ভবানীগঞ্জ, বাগমারা, তকিপুর, গোয়ালকান্দি, কোন্দা লাড়–পাড়া ও হাটখুজিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এনবিআইডিজিপিএস-১ এর অধীনে প্রায় ১৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাঁকোয়া, দেওপাড়া, বিলমালোলী, মোহাম্মদপুর, হরিণমারা, বারুইপাড়া-২, তকিপুর, রুহিয়া-মামুদপুর, চাঁনপাড়া, বীরকয়া ত্রি-মোহনী, সমষপাড়া, চাঁইসারা, পূর্ব দৌলতপুর, বাজেকোলা, তালঘরিয়া, হাসানপুর, সুজন পালশা, বাসুবোয়ালীয়া, দক্ষিণ দৌলতপুর ও গঙ্গানারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় ৮৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি ওয়াল (প্রাচীর) নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) খলিলুর রহমান বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরে আরো ৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, ৪ টি স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল (প্রাচীর) নির্মাণের জন্য ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ১০৫ টি স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া আরো ১২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মানের জন্য তালিকা প্রনয়ন করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা খাতুন জানান, বাগমারায় মোট ২২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪১ টিতে নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এখন আধুনিক ও উন্নত পরিবেশে লিখাপড়া করছে।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাই প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা যেনো আধুনিক ও উন্নত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় এবং পড়া-শুনার প্রতি যেনো আরো বেশি মনোযোগী হয় সে জন্য এ উপজেলায় সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরাতন জরাজীর্ণ শ্রেণী কক্ষগুলো অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে।