বগুড়া অফিস : বগুড়ায় রঞ্জু সরদার (৩৮) নামে এক ক্যাবল নেটওয়ার্ক (ডিশ সংযোগ) ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১২ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাবিবা মন্ডল সোমবার ওই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দন্ডিত প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডেরও আদেশ দেন তিনি। দন্ডিতদের মধ্যে ৭জন পলাতক রয়েছে।
দন্ডিতরা হলেন- বগুড়া সদরের ঝোপগাড়ি এলাকার আকবার আলীর ছেলে আজগর আলী, মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মাহফুজার রহমান, বানদীঘি গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মৃত হোসেন আলীর ছেলে জিন্নাহ্ প্রামাণিক, মিলনের পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, বড় কুমিড়া এলাকার হেলাল শেখের ৪ ছেলে রিপন শেখ, রাজু শেখ, বিজু শেখ ও বাবু শেখ, বানদীঘি এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের দুই ছেলে আইনুল ইসলাম ও একরাম হোসেন ও একই গ্রামের ইনতাজ শেখের ছেলে খয়বর আলী। এর মধ্যে শেষের ৭জন পলাতক রয়েছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নাছিমুল করিম হলি জানান, বগুড়া সদরের কুমিড়া এলাকার আজাহার আলীর ছেলে রঞ্জু সরদার (৩৮) পেশায় একজন ডিশ ব্যবসায়ী (ক্যাবল নেটওয়ার্ক) ছিলেন। ডিশ ব্যবসা এবং এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দন্ডিতদের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।
রঞ্জু সরদার ২০১২ সালের ৭ জুলাই ভোর ৬টার দিকে স্কুল ছাত্র ভাতিজাকে মোটর সাইকেলে তুলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে ভাতিজাকে শহরের নিশিন্দারা এলাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজে রেখে তিনি মোটর সাইকেলে আবার বাড়ি ফিরছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি যখন ঝোপগাড়ি-বড়কুমিড়া সড়কের স্থানীয় একটি কলেজের কাছাকাছি পৌঁছান তখন দন্ডিতরা তার পথরোধ করে রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবণতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে পরদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত রঞ্জুর বাবা আজাহার আলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, মামলায় মোট ১৩জন আসামী ছিল। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।