বগুড়া অফিস : বগুড়ায় করোনার ব্যাপকতা ঠেকাতে শহরের রাজাবাজার ও ফতেহ আলীর খুচরা ও কাঁচা বাজারের দোকানগুলো শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে ২য় বারের মত স্থানান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশানের আহবানে শুক্রবার সকাল থেকে দোকানগুলো বসতে শুরু করেছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৩৬৩ জন, সুস্থ্য ৮ হাজার ৪৮০ জন, মৃত ২১৮ জন এবং বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৬৬৫ জন।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভায় ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতেই রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারের খুচরা ও কাঁচা বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বাজার স্থানান্তর করে যদি স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করা যায় তবে করোনার প্রকোপ ঠেকানো সম্ভব হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনা ভাইরাসকে আটকানো যাবে নইলে করোনায় আক্রান্তের হার আরও বাড়বে ।

বগুড়া রাজাবাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, শুক্রবার থেকে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ দোকান গুলো বসতে শুরু করেছে। দু’একদিনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব দোকান বসবে। সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

করোনার ২য় ঢেউ ঠেকাতে প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে কাঁচা বাজারের দোকান নিয়ে বসেছেন রফিকুল ইসলাম, তিনি ফতেহ আলী বাজারের ব্যবসায়ী। তিনি জানান, আগের মত ব্যবসা এখানে হওয়া কঠিন । কারণ শহরের মানুষ সবাই যদি না জানতে পারে তাহলে বেচাকেনা হবে কিভাবে।

এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার স্থানান্তরের বিষয়টি সকলকে অবগত করতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ বছরের ১৩ এপ্রিল বগুড়া শহরে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ১ম বারের মত রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারের খুচরা ও কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হয়েছিল আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে।