মাসুম রায়হান
পিতা-মাতা সন্তানকে তাদের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। সর্বদা সন্তানের মঙ্গল কামনা করে। মা-বাবার কাছে সন্তান হারানোর যে কষ্ট তা একমাত্র তারাই জানে।
শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশ হেলথ অ্যান্ড ইনজুরি সার্ভে প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্য যে কোনো কারণে মৃত্যুর চেয়ে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
প্রতি বছর শত শত শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলেই ঘটে থাকে।এর একমাত্র কারণ অভিভাবকদের অসচেতনতা। গ্রামে প্রতিদিন পুরুষেরা কাজে বেরিয়ে পড়ে। অন্যদিকে মায়েরা বিভিন্ন সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এই সময়ে ছোট শিশু তার অন্য বন্ধুদের সাথে খেলতে থাকে অথবা একা থাকে। আর গ্রামে প্রায় প্রতিটি বাড়ির আশেপাশেই পুকুর অথবা খাল থাকে। তাই অধিকাংশ শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় এই সময়টিতে।
পত্র-পত্রিকায় এসব মৃত্যুর সংবাদ হরহামেশাই প্রকাশিত হচ্ছে। সাথে সচেতনতামূলক অনেক লেখালেখি প্রকাশিত হয়। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ তো এসব খবর দেখেন না, তারা এসব পত্র-পত্রিকা থেকে দূরে।
বাড়াতে সচেতনতা –
এসব ক্ষেত্রে টেলিভিশন, রেড়িও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। সাথে সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রশাসনের সহায়তায় পানিতে পড়া শিশুকে বাঁচাতে গ্রামবাসীর প্রত্যেককে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান দেওয়া যেতে পারে।
পুল, ডোবা, পুকুর, খাল অথবা নদীসহ অন্যান্য জলাশয়ের কাছে শিশুকে একা ছাড়া যাবে না। একটু বড় হলেই শিশুকে সাঁতার শিখানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।
সর্বদা সচেতন থাকুন, দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলুন।
মাসুম রায়হান
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়