এম. মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বালিয়াকান্দির ‘বুড়োর বিল’র পদ্ম ফুল দর্শনার্থীদের বারবার টেনে আনছে এই অজো পাড়াগাঁয়ের অখ্যাত মঠবাড়িয়া বিলে। কর্তৃপক্ষের একটু সুনজর পেলে এই পদ্ম বিলও হতে পারে অন্যতম দর্শনীয় স্থান। তবে যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সহজেই কেউ এখানে আসতে পারছেন না।

বছর জুড়েই ‘বুড়োর বিলে’র পদ্ম ফুল দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে, মুগ্ধতা ছড়ায়। বিশষ করে বর্ষাকালে দর্শনার্থীদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বুড়োর বিলের পদ্ম ফুল।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া এলাকায় বুড়োর বিলের দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, তাঁদের কাছে এটি ‘বুড়োর বিল’ নামেই পরিচিত। বর্ষাকালে বিলে দেখা যায় গোলাপি আভা। এই বুড়োর বিল সংরক্ষণ এবং পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে গড়ে তোলা গেলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ বিলে আসছে। কেউ কেউ আবার স্মৃতি ধরে রাখতে ভিডিও করছেন এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। তবে বিলে পানি না থাকায় নৌকা চলছে না, যার কারণে প্রকৃতির সৌন্দর্য কাছ থেকে উপভোগ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

পদ্ম ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থী সফি মল্লিক বলেন, ‘আমি রাজবাড়ী থেকে এখানে এসেছি পদ্মের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমার সঙ্গে স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি। সারা জীবন তো কাজই করে গেলাম, তাই একটু বিনোদন নিতে এখানে আসা।’

মুরাদ, আলমগির হোসেন ও সহিদ সেখ নামের কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ‘ফেসবুকে বিলটি সম্বন্ধে জানতে পেরে এখানে ঘুরতে এসেছি। পদ্ম ফুল দেখে খুবই ভালো লাগছে। তবে পানি কম এবং নৌকা না থাকায় পদ্মের সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য টিকিট দিয়ে এর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

নুসরাত নামে এক শিশু বলে, ‘আমি আব্বু-আম্মুর সঙ্গে এসেছি। এখানে খুব ভালো লাগছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, ‘বিলে ফুল ফোটার প্রথম দিকে দর্শনার্থীরা অনেক ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। সে জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে দু’জন গ্রামপুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। এই বিল সংরক্ষণ করা এবং পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।’