কাজী খলিলুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খবরে উপক‚লীয় জেলা ঝালকাঠিতে বইছে আনন্দের বন্যা। কাঙ্খিত এ সেতুর রূপকার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এ জেলার সর্বস্তরের মানুষ। ব্যবসা-বনিজ্যসহ সর্ব ক্ষেত্রে উন্মোচিত হবে এক নতুন দিগন্ত। বিশেষ করে পেয়ারা, আমড়া, শীতল পাটি, আটা-ময়দা ও লবণ যাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে যেমন খুশি কৃষক, তেমনি ব্যবসায়ীরা উদ্যোক্তারাও।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন গণনার সাথে-সাথে উপকূলের ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি জেলার সর্বস্তরের মানুষ নতুন-নতুন স্বপ্নের জাল বোনা শুরু করেছে।
জেলা সদর থেকে লঞ্চ বা বাসযোগে ঢাকা পৌছাতে সময় লাগতো ১২ থেকে ষোল ঘন্টা। আবার কখনও ফেরীঘাটে যানজটের কারনে সময় লেগে যায় ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে মাত্র পাঁচ মিনিটে বাসযোগে সেতু পাড়ি দিয়ে সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকা, এ যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত গল্প।
তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠির সাত লাখ মানুষের নানা স্বপ্নের গল্প নিয়ে চলছে আলোচনা। আলোচনার মূল বিষয় একটি সেতু কিভাবে পাল্টে দিতে পারে একটি জেলার অর্থনীতি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে এ জেলার কৃষক ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন পরিকল্পনা।
ঝালকাঠির অন্যতম কৃষিপণ্য পেয়ারা ও আমড়া মাত্র চার ঘন্টায় সতেজ অবস্থায় পৌঁছে যাবে ঢাকা ও এর আশপাসের জেলায়। পেয়ারা ও আমড়া চাষীরা পাবে তাদের শ্রমের ন্যায্যমূল্য। তাই এখন সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শুধু পেয়ারা-আমড়া চাষীরা খুশি নয়, খুশী লেবু ও কলা চাষীরাও। যারা শ্রম বিক্রি করে পেট চালান তারাও স্বপ্ন দেখছেন পদ্মা সেতু চালুর পরই জেলায় গড়ে উঠবে নানা ধরণের ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কল-কারখানা। তাদের আর শ্রম বিক্রি করতে ঢাকায় যেতে হবে না। পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং এর ওপর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হলে জেলার মানুষ কিভাবে উপকৃত হবে সেই স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন কৃষক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
আলোচনা ছাপিয়ে যে সব বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারা, আমড়া বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি সদর, বানারিপাড়া ও পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলা রয়েছে প্রায় তিনশ বছরের পুরানো বিশাল সুমিষ্ট দেশী পেয়ারা বাগান। এ ছাড়া ঝালকাঠির পেয়ারা, আমড়া, লেবু কিম্বা স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত শাক-সব্জী মাছ, মুরগী, দুধ, ডিম এখন সরাসরি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাবে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে।
ঝালকাঠির অঞ্চলের পেয়ারার সুনাম রয়েছে দেশের সর্বত্র। দ্রুত পচনশীল কিন্তু স্বাদে-গন্ধে অদ্বিতীয় এ পেয়ারাটি শুধুমাত্র ঝালকাঠি সদর, বানারিপাড়া ও পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার একটি বিরাট এলাকায় ব্যাপকভাবে উৎপাদন হয়ে থাকে। এতদিন পদ্মায় সেতু না থাকায় ফেরী পারাপারের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থেকে এই পেয়ারাবাহী ট্রাকগুলোর অনেক পেয়ারা পচে অখাদ্য হয়ে যেতো।
এ কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মূখীন হতে-হতে এক পর্যায়ে ঝালকাঠির এ পেয়ারা ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকতো। এর ফলে পেয়ারার বাজারে ধ্বস নেমে হাজার-হাজার পেয়ারা চাষী বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এ পেয়ারা উৎপাদিত অঞ্চলগুলোতে এখন আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।
ঝালকাঠি সদরের ভিমরুলী পেয়ারা বাগানের মালিক ভবেন্দ্র নাথ হাওলাদার জানান- জেলা সদরের ১০ টির মধ্যে তিনটি ইউনিয়নের (কীর্ত্তিপাশা, নবগ্রাম, গাভারামচন্দ্রপুর) বেশীরভাগ মানুষ পেয়ারা, আমড়া, কলা লেবু ও নানা ধরনের শাক-সব্জি উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বর্ষা মৌসুমে এখানকার উৎপাদিত পেয়ারা, আমড়া, লেবু ও কলা ট্রাক বা ট্রলারযোগে ঢাকা পৌঁছাতে ১৬ থেকে ২৪ ঘন্টা সময় ব্যায় হতো। ফলগুলো পেকেও যেতো। পেকে যাওয়ার কারণে পাইকারী এবং খুচরা বিক্রেতা উভয় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতো। কোন কোন বছর ক্রেতার অভাবে চাষীরা পেয়ারা ভীমরুলী খালে ভাসিয়ে দিয়ে অথবা গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতো।
সেতু চালু হলে ঝালকাঠি সদরের এই তিন ইউনিয়নের পেয়ারা ও আমড়া চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাবে। বাগান থেকে প্রতিদিন সকালে পেয়ারা ও আমড়া সংগ্রহ করার পর দুপুরে মধ্যেই ট্রাকযোগে তা পৌছে যাবে ঢাকা। ক্রেতারা পাবে সতেজ তাজা পেয়ারা। পেয়ারা চাষীরা পাবে ন্যায্যমূল্য। প্রতি বছর পেয়ারা বোঝাই কিছু ট্রাক ফেরীঘাটে ২/৩ দিন আটকে থাকার কারনে পেয়ারা পচে যেত তখন পাইকাররা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতো। সেতু চালু হলে সেই লোকসানের দিন আর থাকবে না।
প্রতিবছর ঝালকাঠি সদরের ভীমরুলী বাজারের কাছে খালে ভাসমান পেয়ারা ও সব্জির বাজার এবং পেয়ারা বাগান দেখতে হাজার-হাজার পর্যটক আসে। পদ্মা সেতু চালুর পরে সেই পর্যটকদের সংখ্যা বহুগুন বেড়ে যাবে। আর পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ার কারনে পেয়রাঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। গড়ে উঠবে অনেক দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পেয়ারা সমৃদ্ধ তিন ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে জেলির কারখানা তৈরি হয়। পদ্মা সেতুর কারনে হয়তো জেলি কারখানায় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবে ।
ডুমরিয়ার চাষী সুনিল হালদার বলেন- অনেকেরই ধারণা ঝালকাঠির ভীমরুলীসহ আশপাশের গ্রামে শুধু পেয়ারা চাষ করে থাকে এখানকার চাষীরা। আসলে ঝালকাঠির এ অঞ্চলে পেয়ারার সাথে কৃষকরা আমড়া, লেবু, কলা এবং নানা ধরনের সব্জির চাষ করে থাকেন। সেতু চালু হলে এসব চাষের সাথে জড়িতরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। চাষীদের সাথে লাভবান খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা থেকে শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরাও। সেতুর কারনে ঝালকাঠির এই বিল অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ঝালকাঠিতে ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় পেয়ারা। সদর উপজেলার কৃর্ত্তীপাশা, ভীমরুলী, শতদাসকাঠি, খাজুরা, মিরাকাঠি, ডুমুরিয়া, জগদিশপুর, খোদ্রপাড়া, পোষন্ডা, হিমানন্দকাঠি, বেতরা, কাপড়কাঠিসহ ২০টি গ্রামজুড়ে রয়েছে দেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান।
এ জেলায় ৬৫০ হেক্টট জমিতে ১৫ হাজার ৪৭০ জন কৃষক আমড়ার আবাদ করেছে। যা থেকে ৯ হাজার একশ মেট্রিকটন আমাড়ার ফলন পাওয়া যায়। এ ফসল থেকে এবছর প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় হচ্ছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে কৃষিবিদরা আশা প্রকাশ করছেন। এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে পেয়ারা এবং আমাড় চাষীরা লোকসান কাটিয়ে উঠে লাভের মুখ দেখতে পাড়বে।
তিনি আরো জানান, এ অঞ্চলে স্বাদ ও গন্ধের আরো একটি কৃষিপণ্য হচ্ছে ঘৃতকাঞ্চন জাতের বোম্বাই মরিচ। টন টন বোম্বাই মরিচ উৎপাদিত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা না আসায় মরিচ চাষীরা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো। এখন থেকে বোম্বাই মরিচ চাষীরাও অনেক লাভবান হবে।
ঝালকাঠির সদর উপজেলার কৃর্ত্তীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুরআব্দুর রহিম জানান- শুধু পেয়ারা চাষীরাই নয়, পেয়ারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাই এ বছর থেকে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হবে। এ অঞ্চলের এই সুমিষ্ট পেয়ারা ছড়িয়ে পড়বে দেশের বড়-বড় শহর বন্দর অঞ্চলে। বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারা উৎপাদনের এ উপজেলার নামও সঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। মধ্য আষাঢ়ে পেয়ারা পাকা শুরু করলে চাষীরা এবার পেয়ারার ন্যায্য মূল্য পাবেন- ফলে তাদের সংসারে ফিরে আসবে স্বচ্ছলতা।
অপর দিকে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার হাইলাকাঠি, ডহরশংকর ও গোপালপুর এবং নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের তিনশতাধিক পরিবার শীতল পাটি বুনে জীবীকা নির্বাহ করে। এ কারণে গ্রামগুলোকে ‘শীতল পাটির’ গ্রামও বলা হয়। এখানকার শত শত হেক্টর জমি জুড়ে রয়েছে বিশাল নজরকাড়া পাইত্র্যা গাছের বাগান।
শীতলপাটি, নামাযের পাটি ও আসন পাটি নামে তিন ধরনের পাটি তৈরি করা হয় বছরের পুরোটা সময়। ৯০ বছরের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ৮-১০ বছরের শিশুরাও নিপুন হাতে তৈরি করে শীতল পাটি। একটি পাটি বুনতে তিন-চার জনের দুই-তিনদিন সময় লাগে। যা বিক্রি হয় পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকায়। প্রতি বছর গ্রীস্মকালে বৈশাখ মাস থেকে ভাদ্রমাস পর্যন্ত পাঁচমাস প্রচুর শীতলপাটি বেচা বিক্রি হয়। বছরে জেলায় তৈরি করা শীতলপাটি থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।
রাজাপুর ও নলছিটি থেকে শীতলপাটি ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। লঞ্চ এবং গাড়িতে যেতে যেমন সময় বেশি লাগে। তাই এ পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত কারিগররা পাইকারি দরে পণ্যটি বিক্রি করে দিতেন। এতে তাদের লাভের পরিমান কম হতো। এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় সরাসরি কারিগররা ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে পারবেন শীতলপাটি। এতে তাদের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়ে যাবে এবং দামও বেশি পাবেন বলে আশা করছেন শীতলপাটির কারিগররা।
ঝালকাঠির শীতলপাটি ও গামছার কদর রয়েছে দেশের সব জায়গায়। স্বল্প সময়ে শীতলপাটি ও গামছা ঢাকায় পৌঁছানোর কারনে এর চাহিদাও বাড়বে। আগে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও জরুরী প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়ে আবার দিনে-দিনে ঝালকাঠি ফিরে আসতে পারতেন না। পদ্মা সেতু চালু হলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও জরুরী কাজে ঢাকা গিয়ে দিনে দিনে ফিরে আসতে পারবে ।
ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর প্লটের চাহিদা ও দাম দুটোই বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তারা বরাদ্দ নেয়া প্লটে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মু. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঝালকাঠি জেলার ব্যবসায়ীদের জন্য পদ্মা সেতু একটি মহা আর্শিবাদ। পদ্যা সেতু চালু হওয়ার কারনে ঢাকার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের দূরত্ব কমবে ৯০ কিলোমিটার। সময় কমবে কয়েক ঘণ্টা। ঝালকাঠির ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে লবন, রড, সিমেন্ট ও টিন ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে সবচেয়ে বেশী। ঝালকাঠিতে এক সময় ৪০টি লবণের মিল ছিল। যার মধ্যে বর্তমানে ১০-১২ টি চালু আছে। পদ্মা সেতুর প্রভাবে বন্ধ হওয়া লবন মিল গুলো চালু হলে ব্যবসায়ীরা খুব বেশী লাভবান হবে।পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের জেলায় শিল্প কারখানা বেড়ে যাবে। উদ্যোক্তাও বাড়বে। আগে ঢাকায় গিয়ে এখানকার মানুষ চাকুরি করত, এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঝালকাঠিতে চাকুরি করতে আসবে।
ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, এক সময় ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কোলকাতা বলা হতো। পদ্মা সেতু চালু হলে পুরনো ঐতিহ্য ফিরে আসবে। আবারো ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি লাভ করবে ঝালকাঠি। মানুষের আয়ের বিভিন্ন পথ সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব কমে আসবে। বেশি বেশি উন্নয়ন হবে। সব কিছুতেই ঝালকাঠির মানুষ সুবিধা পাবে।
ঝালকাঠির উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবেকুন্নাহার আশা প্রকাশ করে বলেন- পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবার পর থেকেই এ অঞ্চলের ফলমূল, শাক-সবজি চাষীদের এবং ব্যবসায়ীদের জীবনে ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাধিত হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। ঝালকাঠি থেকে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবো। এটা মানুষের দীর্ঘ দিনের একটি স্বপ্ন ছিল, তা পূরণ হতে চলছে। এর ফলে এলাকার কৃষি পণ্য সহযেই ঢাকায় পৌঁছে যাবে। শিল্প কলকারখানা বেড়ে যাবে। সব শ্রেণির মানুষের উপকার হবে।