দুর্ঘটনার শিকার স্পিডবোট। ছবি: ইন্টারনেট     

খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : সোমবার ৩ মে সকাল সাতটার দিকে পদ্মা নদীতে এক স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে।

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট সংলগ্ন কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় সকাল সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানাচ্ছে তীব্র গতিতে এগিয়ে চলা যাত্রীবোঝাই স্পিডবোটটি একটি নোঙর করা জাহাজের উপর আছড়ে পড়লে এই দুর্ঘটনা হয়।

নৌ-পুলিশের কাঁঠালবাড়ি ঘাট ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাওয়া থেকে একটি স্পিডবোট যাত্রীদের নিয়ে এই পাড়ে আসার সময় নোঙর করা বালু বোঝাই বাল্কহেডের (ছোট আকারের মালবাহী জাহাজ) সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। বাল্কহেডটি থামানো ছিল। স্পিডবোটটি গিয়েই সেটার সাথে ধাক্কা খেয়েছে।

সকাল ১১.৩০টা পর্যন্ত তারা ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সেই সঙ্গে নদী থেকে জীবিত অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

পদ্মা নদীতে মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী পয়েন্টে এপার-ওপার করা স্পিডবোটগুলোতে আকারভেদে ১২ থেকে ২০ জন যাত্রী পারাপার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু বড় একটি স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রীও উঠানো হয় কখনো কখনো। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্বেও দ্রুত নদী পারাপারের উদ্দেশ্যে বহু মানুষ স্পিডবোট বেছে নেয়।

এখন পর্যন্ত যতগুলো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এটি বড় আকারের স্পিডবোট ছিল এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীতে পূর্ণ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে দেশে এখন যে লকডাউন চলছে, তার অংশ হিসেবে এই স্পিডবোট সার্ভিস বন্ধ থাকবার কথা।

নৌ পুলিশের আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এরা অবৈধভাবে চুরি করে যাত্রী পরিবহন করে। এটাও মাওয়া থেকে সেভাবে যাত্রী আনছিল বলে ধারণা করছি।