নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৃথক দুটি ধর্ষণ ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার বাদলাশন গ্রামে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা শুরু হলে গা-ঢাকা দিয়েছে লম্পট শ্বশুর বাচ্চু মিয়া।

অন্যদিকে উপজেলার ভাটরা পূর্বপাড়া গ্রামে দুই সন্তানের জননী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম্য সালিশে দফারফা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য মোড়লরা দফায় দফায় গ্রামে সালিশ বসিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত লম্পট ধর্ষক জাহিদ হাসান (২৩) ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, আমগাছি ভাটরা পূর্বপাড়ার ওমর ফারুক ঢাকায় রিকশা চালায়। দুই সন্তানসহ গৃহবধূ গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন।

ওই গৃহবধূ জানান, বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে প্রায় সাত মাস পূর্বে কলেজছাত্র জাহিদ ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রামছাড়া করার ভয় দেখালে মানসম্মানের দিকে তাকিয়ে ওই গৃহবধূ বিষয়টি প্রকাশ করেনি। কিছুদিন পর কলেজছাত্র জাহিদ এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ করে। প্রায় সাতমাস ধরে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি জানাজানি হলে গত ৪ ডিসেম্বর গ্রাম্য মোড়লরা সালিশ বসিয়ে ধর্ষক জাহিদের ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও সহযোগি একজনের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গৃহবধূর স্বামী জানান, ঘটনাটি জেনে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে নিয়ে থানায় যাওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু কয়েকজন প্রভাবশালী ও গ্রামের মাতবররা যেতে দেয়নি।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বাদলাশন গ্রামে থানায় তালিকাভুক্ত চুরির মামলার আসামি বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। গৃহবধূ জানান, স্বামী বেলাল হোসেন দিনমজুরের কাজ করতে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পুত্রবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শ্বশুর। বিষয়টি জানাজানির পর সুযোগ বুঝে সটকে গিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে লম্পট শ্বশুর বাচ্চু মিয়া (৪৫)। গৃহবধূর পিতা মামুন হোসেন বলেন, মেয়ে বাড়িতে এসে ঘটনা খুলে বলেছে। মেয়ের শ্বশুর বাড়ির এলাকার কিছু প্রভাবশালী ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, বিষয় দুটি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।