আহমেদ বায়েজীদ : কৃষ্ণসাগরে ১৩৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস রিজার্ভ খুজে পেয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান শুক্রবার জানিয়েছেন এ তথ্য। এর ফলে দেশটির প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৪০ বিলিয়ন কিউবিক মিটারে। যা তুরস্কের অর্থনীতির জন্য বড় সুসংবাদ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে গত বছর তুরস্কের অনুসন্ধানী জাহাজ ফাতিহ তুর্কি উপকূল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে কৃষ্ণসাগর এলাকার সাকারিয়া গ্যাস ক্ষেত্রে ৪০৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস খুজে পায়। যা ছিলো দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের সন্ধান লাভ।

নতুন করে আবারো গ্যাস রিজার্ভের সন্ধান পাওয়ার খবর জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ওই অঞ্চলে আমাদের আরো অনুসন্ধান চলবে। আল্লাহ চাইলে আমরা আরো অনেক ভালো খবর পাবো।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সাগরের তলদেশ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে তিন স্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে তার দেশ। প্রথম স্তরে থাকবে পানির ওপরেই গ্যাস উত্তোলনের কারিগরি সুবিধা স্থাপন। এরপর এই গ্যাস প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার উপযোগী করা। আর তৃতীয় স্তরে থাকবে পাইপলাইন স্থাপন করে সাগরের বুক থেকে এই গ্যাস ভূখন্ডে নিয়ে আসা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এরদোয়ান খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান বিষয়ে সুসংবাদ দেবেন বলে আভাস দিয়েছিলেন।

তুরস্ক অনেক দিন ধরেই তাদের ফাতিহ ও কানুনি নামের দুটি অনুসন্ধান জাহাজ মোতায়েন রেখেছে সমুদ্রসীমায় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজে। ২০২৩ সাল নাগাদ কৃষ্ণসাগর এলাকার সাকারিয়া গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস প্রধান গ্রিডে যুক্ত করার ব্যাপারে আশাবাদী তুরস্ক। এর জন্য দরকার হবে ১৬০ কিলোমিটারের গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন।

গ্যাস ও তেল শিল্পে আমদানি নির্ভর তুরস্কের অর্থনীতির জন্য নতুন রিজার্ভ আবিষ্কার একটি বড় সুসংবাদ। দেশটি তাদের প্রয়োজনীয় গ্যাসের বেশির ভাগই আমদানি করে রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। নতুন গ্যাস রিজার্ভ আবিস্কারের ফলে দেশটির আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমবে।