নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রাম উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক ও বেতগাড়ী হাটের ইজারাদার মাহবুর আলম {৪৫}কে মারপিঠ করে ৬লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের মামলা ১৫ দিনেও থানা রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ অবস্থায় মারপিটকারীদের নানা হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন মামবুব আলম। তবে পুলিশ জানিয়েছে থানায় দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে।তবে অভিযোগে চাঁদাবাজির ভুল তথ্য থাকায় তা সংশোধন করে দিলে মামলা গ্রহন করা হবে।

থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, জনৈক ব্যক্তির পুকুরের মাছের ফিড এর দাম বাবদ ৫ হাজার টাকার জামিনদার হন মাহবুব আলম। সেই টাকা দাবী করে আসছিল আহসান হাবীব রাজাসহ কয়েকজন। ঘটনার দিন ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সমিতির ও হাটের আদায়কৃত মোট ৬লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মাহবুব আলম।

এ সময় বেতগাড়ী বাজারের পান পট্টি বটগাছের নিচে মাহবুব আলমের পথরোধ করে প্রতিপক্ষের উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের মোসাদ্দেক আলীর ছেলে আহসান হাবীব রাজা(৩০)তার ভাই বাদশা(২৫) ও আবুজার(২৩) এবং ভবানীপুর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৩৩)সহ আরো ৫/৬ জন তাকে ঘিরে ধরে করে টাকা দাবি করে। মাহবুব আলম টাকা দেয়ার কয়েকদিন সময় চাইলে কোন কথা না শুনে তাকে কিল,ঘুস ও কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তার কাছে থাকা ৬লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যান। গুরুতর আহতাবস্থায় মাহবুবকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাহবুব আলমকে মারপিটের বিষয়টি বেতগাড়ীর বাজারের সিসি টিভিতে ফুটেজ রেকর্ড রয়েছে। এ ঘটনায় আহসান হাবীব রাজাসহ ৪জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার সন্ধ্যায় রানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মাহবুর আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম।

এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি শাহীন আকন্দ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে উভয়পক্ষে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মাহবুব আলমকে মারপিটের সত্যতাও পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগে চাঁদাবাজির ভুল তথ্য থাকায় তা সংশোধন করে দিলে মামলা গ্রহন করা হবে।

অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকতার্ রাণীনগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম জানান,ঘটনার তদন্তে মাহবুবকে মারপিটের অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাহবুব আলমের প্রতিপক্ষরা ও মাহবুব আলমের কাছে থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পাবেন মর্মে থানায় অভিযোগ করেছেন। দুটি অভিযোগের তদন্তশেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এস আই আব্দুর রহিম।