তার বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থপাচারের মামলাও চলছে
খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : রাস্তা তৈরির কাজে পাওয়া গিয়েছিল অনিয়ম। তা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফের্নান্ডেজ দে ক্রিশনার (সিএফকে) এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি আর্জেন্টিনার প্রথম নারী প্রেসিডেন্টও ছিলেন।
আদালতের নির্দেশ, তাকে ছয় বছর জেলে কাটাতে হবে এবং তিনি ভবিষ্যতে কোনো সরকারি পদে থাকতে পারবেন না।
আদালত জানিয়েছে, তিনি যখন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময় ক্রিস্টিনা একশ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সাল থেকে তার বিচার চলছিল। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সিএফকে। তিনিই আর্জেন্টিনার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
আদালতের রায়ের পর সিএফকে বলেছেন, তিনি জুডিশিয়াল-মাফিয়ার শিকার। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবেন। সেই আবেদনের শুনানিও দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে। যতদিন এই আবেদনের বিচার চলবে, ততদিন তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
তার বিরুদ্ধে আইনজীবীদের দাবি, প্রেসিডেন্ট থাকার সময় সিএফকে ৫১টি সরকারি প্রকল্পের বরাত তার স্বামীর বন্ধু একজন বড় ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ী সিএফকে-র স্বামীর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
আইনজীবীদের দাবি, টেন্ডারের ক্ষেত্রে গোলমাল করা হয়েছে। বেশি অর্থ দিয়ে প্রকল্প হাতে নিয়ে তা শেষ না করে ছেড়ে দিয়েছে ওই কোম্পানি।
সিএফকে-র বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থপাচারের মামলাও চলছে। তার ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ আনা হয়েছে।