খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : অবশেষে আইপিএলে দল পেলেন সাকিব আল হাসান। তার সাথে যুক্ত হলেন লিটন কুমার দাস। শুক্রবার আইপিএলের নিলামের প্রথম দফায় অবশ্য দুই ক্রিকেটারই অবিক্রিত ছিলেন।
বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নাম ডাকা হলেও প্রথম দফায় আগ্রহ দেখায়নি আইপিএলের কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। আগের বারও আইপিএলের নিলামে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নেয়নি সাকিবকে। এবার যদিও শেষ বেলায় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে তুলে নিল কলকাতার ফ্যাঞ্চাইজি কেকেআর।
সাকিব আল হাসানের সাথে কেকেআর দলে নিল বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন কুমার দাসকেও। দু’জনকেই তাঁদের ন্যূনতম দামে কিনেছে কলকাতা। সাকিবকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকায় এবং লিটনকে ৫০ লাখ টাকায় কিনল দু’বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। সাকিবকে পাওয়ায় কেকেআরের ভারসাম্য বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, লিটন উইকেট রক্ষার পাশাপাশি ব্যাট হাতে দলের ইনিংসও ওপেন করতে পারেন।
তবে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদকে নিল না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাঁর ন্যূনতম দাম ছিল ৫০ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সূচির জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এ বার পুরো আইপিএল খেলতে পারবেন না। সে কারণেই সাকিব, লিটনদের দলে নিতে তেমন আগ্রহী দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। তা ছাড়া গত এক বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সও তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। যদিও হাতে টাকা কম থাকা কেকেআর শেষ বেলায় বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে তুলে নিয়ে দলের শক্তি বাড়িয়ে নিল।
শুক্রবারই ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার চার উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।। তবু আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রথম দফায় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি। ২০০৯ এবং ২০১০ সালের আইপিএল নিলামেও দল পাননি সাকিব।
২০১১ থেকে ২০১৭ এবং ২০২১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলেছেন সাকিব। ২০১৮ এবং ২০১৯ মরসুমে সাকিব ছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্রিকেটার। ২০২১ সালে সাকিব নিজের ন্যূনতম মূল্য রেখেছিলেন ২ কোটি টাকা। তাঁকে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১১ সালের নিলামে প্রথম বার তাঁকে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দলে নেয় কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০১৪ সালের নিলামে তাঁকে আবার দলে নেয় কলকাতা। সে বারের নিলামে সাকিবের দাম উঠেছিল ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের পর সাকিবকে কলকাতা ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১৮ সালের নিলামে তাঁকে ২ কোটি টাকা দিয়ে দলে নেয় হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি।
২০১১ সালের ১৫ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএলে অভিষেক হয় তাঁর। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৭১টি ম্যাচ খেলেছেন শাকিব। মোট ৭৯৩ রান করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৬৩টি। তাঁর সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৬ রান। সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের দিকে তাকিয়ে। কলকাতাও তাঁর উপর এই নিয়ে চতুর্থ বার আস্থা রাখল। একই সঙ্গে আস্থা রাখল লিটন কুমার দাসের উপরেও।