নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ এক বিবৃতিতে বলেন, “দিল্লীর সফর শেষে দেশে ফেরার দিনে শেখ হাসিনা উপহার পেল বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ আর আহত রক্তাক্ত দেহ।“
“দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে স্কুল পড়ুয়া তরুণকে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। পরিবার দাবী করছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের স্কুলপড়ুয়া সন্তানকে ভারতীয়রা গুলি করে। এরই মধ্যে অনুগত প্রশাসন নিহত ও গুলিবিদ্ধদের চোরাকারবারী তকমা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আমরা এই খুন, হত্যা, আহত করার তীব্র নিন্দা জানাই। এ সফরে সীমান্ত হত্যা ও সার্বভৌমত্বের লংঘন নিয়ে কোন ফলপ্রসু আলোচনা হয়নি বলেই এহেন ন্যাক্কারজনক সীমান্তে গুলি করে নিহত ও আহত করার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এ ঘটনা প্রমাণ করে সফরে সময় ও অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই অর্জিত হয়নি।”
তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতা প্রত্যাশীদের দিল্লীর প্রতি মোহ আর আসক্তি বার বার সীমান্তে হত্যা, সার্বভৌমত্বের লংঘনের ঘটনা ঘটলেও দেশের মানুষ অসহায় নিরুপায় হয়ে আহাজারি করছে। এ মাসের ০৬ তারিখ দিল্লীতে হাসিনা-মোদী সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সম্পর্কের অন্তরায় হলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মোকাবেলার হুমকি দেয়। পানি আগ্রাসন, সীমান্ত আগ্রাসন, আধিপত্য বিস্তারে দিল্লীর অপতৎপরতা আর মুসলিম বিদ্বেষের প্রতিবাদকে ‘বন্ধুত্বে ফাটল’ আখ্যা দিয়ে গুম, খুন, হামলা, মামলার নারকীয় তান্ডব চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলো মোদী। দিল্লী বাংলাদেশে ভোট ডাকাত-ফ্যাসিবাদীদের টিকিয়ে রাখতে ভাতৃঘাতি সংঘাত শুরু করতে মরিয়া। তাই সকল পক্ষকে সতর্ক হবার আহবান জানাচ্ছি।” – বিজ্ঞপ্তি