বগুড়া অফিস : বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় এক ছাত্রীর নাম তিনবার উঠেছে লটারিতে। ফলে অভিভাবকদের মধ্যে লটারির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানা যায়, গত সোমবার (১২ জানুয়ারি) একযোগে দেশের সব সরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় অনলাইনে ও স্কুলের নোটিশ বোর্ডে।

ফলাফলে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোছাঃ শরমিলা আক্তার নামে এক ছাত্রীর নাম তিনবার এসেছে। সে মেধা তালিকার ১ম, ২য় ও ৬ষ্ঠ অবস্থান পেয়েছে। শরমিলার নাম ও ছবির সঙ্গে তিনটি জন্মনিবন্ধন নম্বর ২০১৪১০১২১৭৭১০৯৭৮৭, ২০১৩১০১৮৪৫৩১০৫৩৬৪ ও ২০১৪১০১২০৭৭১০৯৭৮৭ ব্যবহার করা হয়েছে।

পাশাপাশি তার আবেদনের ইউজার আইডিতে ভিন্নতা রয়েছে। শরমিলার পিতার নাম শফিকুল ইসলাম, মাতার নাম নাছিমা আকতার। ক্লাস ও শিফট দিবা শাখা হুবহু মিলে গেছে। এ ঘটনায় অনলাইনে লটারি কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবকরা।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, লটারিতে ব্যবহার করা সফটওয়্যারের দুর্বলতার কারণে একজনের নাম একাধিকবার এসেছে। তবে একজন একবারই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এক ছাত্রী তিনবার লটারিতে সুযোগ পাওয়ায় আমরা বিব্রত। তার মেধাতালিকার ইউজার আইডি তিনবারেই ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত যে, তার অভিভাবক কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সফটওয়্যারে দুর্বলতা থাকতে পারে। কেন্দ্রীয়ভাবে এই কার্যক্রম পরিচালতি হওয়ায় এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে ভর্তির ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। এক্ষেত্রে ওই ছাত্রীর কোন ত্রুটি থাকলে আইন অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ বাতিল হবে। পাশাপাশি ওয়েটিং লিস্ট থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পাবে।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার ৭৭৯ ছাত্রী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন করে। তারমধ্যে প্রভাতি ও দিবা শাখায় ২০৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে।