এম. মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী : সোমবার রাত ১২টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘন কুয়াশায় পরে পদ্মার মাঝে ৩ ফেরি আটকে গেছে।

দীর্ঘ সময় ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় উভয় পারে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে। এদিকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ছোট বড় মিলে তিনটি ফেরি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ্ রনি বিয়ষটি নিশ্চিত করে জানান, নদীতে কুয়াশার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে গতকালের মত বেলা ১০/১১টার আগে ফেরি চালু করা সম্ভব হবে না।

এ রুটের শাহপরান ফেরির মাষ্টার শাহাদত উল্লাহ জানান, কুয়াশার মাত্রা এতোটাই বেশি ছিলো যে, কাছের দৃষ্টি সীমানার বস্তুটিও দেখা সম্ভব ছিলো না। যে কারণে দুর্ঘটনা আশঙ্কায় চলাচল ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে । কুয়াশার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসার পর ফেরি চলাচল পুনরায় চালু করা হবে। পদ্মা পারে কুয়াশায় আটকা পরে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

এদিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে অনেকে জনপ্রতি ১০০ টাকায় ঝুকি নিয়ে ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন।

ঝুঁকি নিয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রীরা নদী পার হলেও নজরদারি নাই প্রশাসন বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার অজুহাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে যাত্রী পার করছেন ট্রলার চালকরা।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরি ঘাটের পন্টুন থেকে যাত্রী বোঝাই করে পর পর দু’টি ট্রলার পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

এ সময় ঘাট এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় চোখে পড়েনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কোন সদস্যের এবং কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়াই যাত্রীদের ডেকে ওঠানো হচ্ছে ট্রলারে। সেই সাথে মোটরসাইকেল পার করতেও দেখা গেছে।

জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে মধ্য রাত হতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যে কারণে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয় দৌলতদিয়া প্রান্তে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারাপার হতে না পেরে, ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে নদী পার হচ্ছেন। এ সময় জনপ্রতি ১শ’ টাকা ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।

দৌলতদিয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাড়ির ওসি মোঃ মুন্নাফ জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সার্বক্ষণিক ঘাট এলাকাসহ নদীতে টহল দেন। মাঝে মধ্যে তাদের চোখ ফাকি দিয়ে ট্রালারে যাত্রী পারাপার করা হয় বলে শুনেছেন। কিন্তু ঝুকি নিয়ে ট্রলারে যেন যাত্রী পারাপার করা না হয়, সে বিষয়ে তাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া থেকে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের কোন সুযোগ নাই। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন বলে জানান।