কাজী খলিলুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৩৬ গ্রামে বিষমুক্ত সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন নারীরা। কান্দি তৈরি, সবজির বীজবপণ ও ফসল তোলা, সবই করছেন তারা। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে ১২ মাসই সবজীর চাষ হয়। এতে ভাগ্য বদলেছে তাদের। জেলায় সবজি উৎপাদনে বড় একটি ভূমিকা রাখছেন এখানকার নারীরা। সংসার চালানোর পাশাপাশি সন্তানের লেখা পড়ার খচরও বহন করছেন তাঁরা। কৃষি বিভাগ নারীদের সবজি চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। ঝালকাঠি প্রতিনিধি কাজী খলিলুর রহমানএর তথ্য ও ছবিতে একটি প্রতিবেদন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম, বিনয়কাঠি, কীর্ত্তিপাশা ও গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই এখন শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। এখন ফুলকপি-বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, আলু, শিম, বরবটি, ক্ষীরা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, শালগম, লাল শাক পালং শাকসহ শীতের নানা সবজিতে ভরপুর। এখানকার সবুজ সবজির সমাহার গড়ে তোলার কারিগর হচ্ছেন স্থানীয় নারীরা।
কৃষি বিভাগের মতে, সবজি চাষে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন নারীরা। সদর উপজেলার ৩৬টি গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে চারটি ইউনিয়নে শুধু নারীরাই সবজি ক্ষেতে কাজ করেন। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন পুরুষরা। এখানকার সবজি ক্ষেতগুলো এখন ফুলকপি-বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, আলু, শিম, বরবটি, ক্ষীরা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, শালগম, লাল শাক, পালং শাকসহ শীতের নানা সবজিতে ভরপুর। সবজির আবাদ ভাল হওয়ায় খুশি কৃষানীরা। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকদের কারিগরি সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে সদর উপজেলায় রবি মৌসুমে ৩ হাজার একশ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীস্মকালীন সময় এক হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে সবজীর আবাদ হয়ে থাকে। রবি মৌসুমে ৪৩ হাজার ৪শ মে: টন এবং গ্রীস্মকালীন সময় ১৩ হাজার ২শ মে: টন সব্জি উৎপাদন হয় হয়। যা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। দিন রাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না, লাভের বড় অংশই যায় মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের পকেটে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে সবজী চাষে কৃষকদের কারিগরী সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়।
সদর উপজেলায় রবি মৌসুমে ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত ৪৩ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাশের জেলা উপজেলাতেও যাচ্ছে।