খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : জার্মানির কোলন শহরে অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে বড় মসজিদে প্রথমবারের মতো ‘লাউডস্পিকারে’ (মাইকে) জুমার নামাজের আযান প্রচারিত হয়েছে৷ গত বছর জুমার নামাজের আযান প্রচারের অনুমতি দেয় জার্মানির শহর কর্তৃপক্ষ৷

এই উদ্যোগকে মুসলমানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেছে কোলন শহর কর্তৃপক্ষ৷ তবে মসজিদটির সাথে তুরস্ক সরকারের সংশ্লিষ্টতায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি পরিচালনা করে জার্মানিতে তুরস্ক সরকারের ধর্ম বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (ডিআইটিআইবি)৷ সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আতাসোয় সেখানে আযান প্রচার শুরু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন৷ তার মতে, মানুষকে প্রার্থনার জন্য আহ্বান প্রচারিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মুসলসমানরা যে নিজেদের বাড়িতেই আছেন এমনটা প্রকাশ পেয়েছে৷

এদিকে কোলন শহরের মেয়র হেনরিট্টে রেকার বলেন, লাউডস্পিকারে আযান দেওয়ার অনুমতি দিয়ে শহরের মুসলমানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে৷

উল্লেখ্য, পশ্চিম জার্মানির কোলন শহরে প্রায় এক লাখ মুসলমান বাস করেন৷

শব্দসীমা মেনে আযান

জার্মানির বিভিন্ন শহরের মসজিদে লাউডস্পিকারে আযান প্রচারের অনুমতি রয়েছে৷ তবে কোলন কর্তৃপক্ষ এই মসজিদটিকে গত বছর প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে আযান প্রচারের অনুমতি দেয়৷ নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী দুই বছর প্রতি শুক্রবার দুপুর দুইটা থেকে বিকেল তিনটার মধ্যে পাঁচ মিনিটের জন্য লাউড স্পিকারে আযান প্রচার করা যাবে৷ তবে শব্দসীমা হবে সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল৷

এমন প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদটিতে লাউড স্পিকারে আযান প্রচারিত হয়৷ কোলন শহরের আরো কয়েকটি মসজিদও এখন আযান প্রচারের আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের অনুমতি চেয়েছে৷

এদিকে তুরস্ক সরকারের সাথে মসজিদটির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জার্মানিতে সমালোচনা রয়েছে৷ সমালোচকদের দাবি, ডিআইটিআইবি’র মাধ্যমে জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি জনগোষ্ঠীর উপর গোয়েন্দাবৃত্তি করছে ইস্তাম্বুল৷

২০১৮ সালে এক বিতর্কিত সফরের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান মসজিদটি উদ্ধোধন করেন৷

জার্মানিতে উদারপন্থি মুসলমানদের সংগঠন আলহামবরা সোসাইটির উপদেষ্টা মুরাত ক্যামান আযান প্রচারের বিষয়টিকে সাধুবাদ জানালেও ডিআইটিআইবি গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয় না বলে মন্তব্য করেন৷