খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : জার্মানিতে এই কিছুদিন আগে মাস্ক নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল৷ এবার উঠেছে করোনা পরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ৷ ফলে করোনা সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে এখন প্রবল চাপের মুখে সরকার৷

এমপির বিরুদ্ধে ঘুসের অভিযোগ : গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির এমপি গিয়র্গ ন্যুসলাইনের বিরুদ্ধে ছয় লাখ ৬০ হাজার ইউরো ঘুস নেয়ার অভিযোগ ওঠে৷ রক্ষণশীল এই আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়ে চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা রেখেছেন৷ অভিযোগের তদন্ত এখনো চলছে৷

করোনা পরীক্ষায় দুর্নীতি : করোনার সংক্রমণ কমাতে এবং মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে বিভিন্ন শহরে যত বেশি সম্ভব করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে সরকার৷ সপ্তাহে কমপক্ষে একবার বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করানোর সুযোগ পাচ্ছেন অনেক মানুষ৷ পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে তা দেখিয়ে অবাধে কেনাকাটা আর রেস্তোরাঁয় প্রবেশের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ এসব পরীক্ষা নিয়েই শুরু হয়েছে দুর্নীতির মহোৎসব৷

অসহায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী : বিভিন্ন শহরে এই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো চালাচ্ছে মূলত বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান৷ পরীক্ষা না করেই টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠার পর ১৬টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷ সেখানে দুর্নীতি রোধে রাজ্য সরকারগুলোকে তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার৷ বার্লিন থেকে সারা দেশের পরি্স্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়৷’’

কাগজে ১০০০, বাস্তবে ৭০ : নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের কোলন শহরের মাত্র একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেই সারা দেশে দ্রুত করোনা পরীক্ষার নামে কী হারে দুর্নীতি হচ্ছে তা বোঝা যাবে৷ সেখানে বাস্তবে মাত্র ৭০ জনের করো৷না পরীক্ষা করা হলেও সরকারের কাছ থেকে এক হাজার জনের পরীক্ষার টাকা নেয়া হয়েছে৷

কম টাকায় কম দুর্নীতি? : প্রতি জনের একবারের পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৮ ইউরো করে দিতো জার্মান সরকার৷ কিন্তু ব্যাপক দুর্নীতির খবরে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, টাকার পরিমান ১৮ ইউরো থেকে অনেক কমিয়ে দিতে চান তিনি৷ স্পান মনে করেন, প্রতিটি পরীক্ষার জন্য ১০ ইউরোরও কম দেয়া উচিত৷ পরীক্ষার খরচ কমালে দুর্নীতি কি কমবে?