সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে আদালতের স্থিতাবস্তার আদেশ অমান্য করে সাচনাবাজার ইউনিয়নের ফাজিল পুর গ্রামের মসজিদের আওতায় ‘লাছখানি জলমহালে’ জোরপূর্বক মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাছ ধরা বন্ধের জন্য উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গতকাল মঙ্গলবার লিখিত আবেদন দিয়েছেন।

আবেদনে উল্লেখ, ওই জলমহালটি বাদী পক্ষের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলায় শুনানীর দিন ধায্য করে জলমহালটির স্থিতাবস্তার আদেশ প্রদান করেন। আদেশ অমান্য করে একই গ্রামের বিবাদী পক্ষ আব্দুল হক, বাতির আলী, বদরুল আমীন গংরা গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ফাজিল পুর গ্রামের মসজিদের আওতায় ‘লাছখানি জলমহালে’ জোরপূর্বক ভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ আহরণ মৎস্য আহরণ অব্যহত রেখেছেন। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ বিবাদীদের আদালতে হাজির হয়ে জাবাব দেয়ার জন্য কয়েক বার সমন জারি করলেও তারা সময় বৃদ্ধি করে সুযোগে সুযোগে মাছ আহরণ করেন। আগামী তারিখে হাজির না হলে এক থরফা ভাবে মামলার নিষ্পতির আদেশেরও সমন জারি করা হয়। এ কারণে বিবাদীরা তড়িগড়ি করে মাছ আহরণ করছেন।

এ ব্যাপারে বিবাদী আব্দুল হককে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিফ করেননি। অন্য বিবাদীদের মোবাই নাম্বার না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, লিখিত অভিযোগটি আমার হাতে আসেনি। তবে আনইশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না হয় সে জন্য সরেজমিনে তহশীদার অথবা পুলিশ প্রশাসনকে পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।