সারি-গোয়াইনঘাট সড়কের দৃশ্য। ও পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে প্লাবিত বসতবাড়ি

মনজুর আহমদ, গোয়াইনঘাট : টানা বৃষ্টি আর আর পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট প্লাবিত। উপজেলার ৯৫ ভাগ ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে। কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে কতজন মানুষ অবস্থান করছেন, নেটওয়ার্ক না থাকায় এখনও সটিক তথ্য পাওয়া যাযনি।

গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ছিল। কিন্তু বুধবার সকাল ৮টা থেকে সারি ও ডাউকি নদী দিয়ে বিপদ সীমার উপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ২/৩ ঘন্টার মধ্যে উপজেলা সদরসহ ১২ টি ইউনিয়নের ৯০শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।

সারি-গোয়ািনঘাট সড়ক, গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কসহ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

নদনদী দিয়ে বিপদ সীমার উপরে পানি প্রবাহিত হওয়ার উপজেলাবাসীর মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে।

বিশেষ করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকের ঘরে কাবার নাই। আবার অনেকের ঘরে খাবার থাকলেও চুলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকে রান্না করে খাবার খেতে পারছেন না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাট-বাজার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসা বানিজ্য ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জানতে চাইলে

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান জানান, গোয়াইনঘাটে উপজেলা প্লাবিত রয়েছে। এছাড়াও বিপদ সীমার উপরে সারি ও ডাউকি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ৪০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাছাড়া মন্ত্রী মহোদয় ৪৪টন চাল পানিবন্ধী মানুষের মাঝে বরাদ্ধ দিয়েছেন।