পিবিআই তদন্তে রহস্য উদঘাটন

গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তদন্তে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নিবন্ধনের প্রমান মিলেছে। এ ঘটনায় দুই জন দলিল লেখকসহ ৭ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার সাতখামাইর (শ্রীপুর) মৌজার ২৯, ৩০ ও ৩১ নং আরএস খতিয়ানভুক্ত ৩ একর জমির মালিক মফিজা খাতুন ২০২০ সালের ১০ মার্চ পাশ্ববর্তী পাগলা থানার বালিপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান। গত বছর ২১ ডিসেম্বর মৃত মফিজা খাতুনকে দাতা দেখিয়ে শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে হেবা ঘোষণার একটি দলিল (নং-২৮৮) নিবদ্ধন হয়। দলিলটিতে মৃত মফিজা খাতুনের মেয়ে কামরুন নেছা ওরফে মমতাজকে গ্রহিতা দেখানো হয়।

জালিয়াতির এ ঘটনায় আদালতে গত বছর ১৮ আগস্ট মামলা (নং-৭৬৮) করেন মৃত মফিজা খাতুনের নাতী তৌহিদ মিয়া। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় গাজীপুর পিবিআই।

পিবিআই তদন্তে অভিযুক্ত শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুই জন দলিল লেখক এবং দলিলের গ্রহিতা মৃত মফিজা খাতুনের মেয়ে কামরুন নেছা ওরফে মমতাজসহ ৭ জনের নামে গত ২৪ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত শনিবার এ মামলার আসামী দলিল লেখক আজমলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি দলিলটির গ্রহিতা কামরুন নেছার ওপর সম্পূর্ণ জালিয়াতির দায় চাপিয়ে গত সোমবার জামিন লাভ করেন।

এ ছাড়া আরো ৩ জন আসামী একইভাবে এ জালিয়াতিতে কামরুন নেছাকে দায়ী করে জামিন নিয়েছেন। মূল আসামী কামরুন নেছা ও তার স্বামী জামাল উদ্দিনসহ অন্যরা এখনো পলাতক রয়েছেন।

এদিকে একটি শিল্পগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রায়ত্ব একটি ব্যাংক থেকে মোটা অংকের লোন পাইয়ে দিতেই গুরুতর এ জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবী করেছে।