গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি : জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রবাসী চার সহোদরের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) খারিজ করে দিয়েছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বিদেশে অবস্থানরত চার সহোদরের ক্রয়কৃত জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এ মামলা দেয়া হয়েছিল বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নন্দলালপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেন প্রধানের ছেলে জুলহাস মিয়া, রাসেল আহমেদ, নবীর হোসেন ও মো. আলী যৌথভাবে ২০০৭ সালে গাজীপুর মহানগরের বাহাদুরপুর মৌজায় সোয়া ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছিলেন।
ওই জমির বিক্রেতা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নান্দুয়াইল এলাকার ফজলে আলী হাওলাদার। ফজলে আলীর দুই ছেলেও ওই জমির হস্তান্তর দলিলে সাক্ষী ছিলেন। উক্ত চার সহোদর দীর্ঘ দিন যাবত সৌদী আরবে কর্মরত থাকায় ফজলে আলীর ছেলে ও প্রবাসী রাসেল আহমেদের ভাইরা ভাই মোফাজ্জল হোসেন উক্ত জমি দেখাশুনা করতেন।
ইতিমধ্যে ফজলে আলীর মৃত্যুর পর তার অপর ছেলে নৌবাহিনীর সদস্য ইউনুস আলী হাওলাদার জমির মালিকানা দাবী করে বসেন এবং গত বছর চার সহোদর বিদেশে অবস্থানকালে তাদের বিরুদ্ধে উক্ত জমি জবর দখল প্রচেষ্টার মিথ্যা অভিযোগে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-৩৩৪/২০২১) করেন।
এ মামলায় বিদেশে অবস্থানরত চার সহোদর ছাড়াও মোফাজ্জল হোসেন ও মোফাজ্জলের স্ত্রী শিউলী আক্তারের বিরুদ্ধেও জবর দখলের কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়। অথচ শিউলী আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এখনো শয্যাশায়ী।
এ ব্যাপারে আলোচিত মামলার বাদী ইউনুস আলী হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মামলায় তিনি যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন সেই নম্বরে ফোন দিলে সেটি রং নাম্বর বলে অপরপ্রাপ্ত থেকে দাবী করা হয়।
প্রবাসী রাসেল আহমেদের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন, মামলার বাদী ইউনুস আলী সম্প্রতি নৌবাহিনীর ভয় দেখিয়ে আমাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
প্রবাসী চার সহোদলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কৌশিক আহমেদ বলেন, চার সহোদর বিদেশে অবস্থান করার সুযোগ নিয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে তাদের জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এ মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল। আমরা আদালতে উপযুক্ত প্রমানপত্র উপস্থান করে শুনানীতে অংশ নিই। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত মামলাটি নথিজাত করার নির্দেশ দিয়েছেন।