গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি : জাল-জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার এক দম্পতিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত। তারা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার উরাহাটি গ্রামের জালাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী কামরুন নেছা ওরফে মমতাজ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী কামরুন নেছা ওরফে মমতাজ এর মা মফিজা খাতুন ২০২০ সালের ১০ মার্চ পার্শ্ববর্তী পাগলা (ময়মনসিংহ) থানার বালিপাড়ার নিজ বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুর প্রায় ১০ মাস পর গত বছর ৭ জানুয়ারি মৃত মফিজা খাতুনকে শ্রীপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত দেখানো হয়।

ওই দিন কন্যা মমতাজ নিজে গ্রহিতা হয়ে এবং মৃত মা মফিজাকে দাতা দেখিয়ে ৩০০ শতাংশ জমির হেবা ঘোষণামূলক দলিল (নং-২৮৮) নিবন্ধন করেন। অথচ মফিজা খাতুন জীবদ্দশায় ২০১১ সালের ১০ ফেব্রয়ারি উক্ত সম্পত্তি অপর কন্যা সাহিদা খাতুনকে হেবা দলিলমূলে হস্তান্তর করেন।

এ জালিয়াতির ঘটনায় সাহিদা খাতুনের ছেলে তৌহিদ মিয়া গত বছর ১৮ আগস্ট গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা (নং-৭৬৮) করেন। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় গাজীপুর পিবিআই। এ ঘটনায় পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত গত ২৪ এপ্রিল ৭ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামী কামরুন নেছা ওরফে মমতাজ ও তার স্বামী ২ নম্বর আসামী জালাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন এবং এ দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী তৌহিদ মিয়া জানান, মামলাটি চলমান অবস্থায় তারা জানতে পারেন আলোচিত জাল-জালিয়াতির ঘটনায় বিডি পেইন্টস লিমিটেড নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শ্রীপুরের একটি চিহ্নিত ভূমি জালিয়াত চক্রও জড়িত। ইতিমধ্যে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিডি পেইন্টস কর্তৃপক্ষ জালিয়াত চক্রের সাথে যোগসাজশ করে মামলার বাদী পক্ষের প্রায় সাড়ে ৪ একর সম্পত্তি রাষ্ট্রায়ত্ব জনতা ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে সাড়ে ৭ কোটি টাকার লোন উত্তোলন করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তারা আরেকটি পৃথক মামলা করবেন বলেও জানান।